মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ ওমর ফারুক : যুগের ঘূর্ণিপাকে ঘুরে ঘুরে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয় রমজান। আরবী বর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম মাসকে রমজান মাস বলা হয়। প্রতি বছর দুনিয়ার মুসলমানদের সামনে হাজির হয় প্রশিক্ষণের মাস আত্মন্নয়নের মাস হিসেবে মাহে রমজান। রোজার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে নৈতিক শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে আত্মশুদ্ধি লাভ। রোজা মানুষের মধ্যে প্রচÐ নৈতিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। রোজা নৈতিক শক্তি সম্পন্ন মানুষ তৈরির সবচেয়ে বড় এবং কার্যকর উপাদান। এই নৈতিক শক্তি-ই একজন মানুষকে আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ থেকে আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে দুর্বার বেগে এগিয়ে যাবার শক্তি যোগায়। অর্থাৎ আল কোরআনের দেখানো পথ অনুযায়ী জীবন গঠনের ক্ষেত্রে রোজার ভূমিকা অপরিসীম। তাই সহজে বলা যায় যে, রমজান মাস হচ্ছে একজন মুমিনের সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতা হাসিলের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
প্রতিটি মানুষের শরীর দেহ ও রূহের সমম্বয়ে গঠিত দেহ তার টিকে থাকা ও উৎকর্ষের জন্য প্রতিনিয়ত বস্তুগত নানা ধরনের উপাদান পেতে চায়। কিন্তু রূহ এসব বস্তুগত উপাদানে তুষ্ট হয় না, সমৃদ্ধ হয় না, শান্তি ও স্বস্তি পায় না, রুহ জাগতিক কোন খাবার খায় না। আল্লাহর স্মরণ, আল্লাহর নির্দেশিত পথে পথ চলা, তাঁর বিধি নিষেধগুলো যথাযথভাবে পুঙ্খানুরূপে পালন করলেই রুহের খাবার দেয়া হয়, রুহ পরিতৃপ্ত হয় সে শান্তি সমৃদ্ধি লাভ করে। একজন মানুষ উন্নত মানুষে পরিণত হয় যখন সে তার দৈহিক চাহিদার চাপের কাছে ক্রমাগতভাবে আত্মসর্মপণ না করে নৈতিক সীমারেখা লঙ্ঘন করা থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে। আর নৈতিক সীমা রেখা লঙ্ঘন করা থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য প্রয়োজন প্রবল নৈতিক শক্তি। একজন মানুষের মাঝে প্রবল নৈতিক শক্তি বিকাশের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে সব প্রক্রিয়া নির্দেশ করেছেন তার বিশেষ ব্যবস্থা হলো সিয়াম সাধনা তথা রমজানের রোজাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সতর্কতার সাথে পালন করা।
সত্য ও ন্যায়ের পথে নিজকে ঠিকে রাখা অপর কে এই পথে আহŸান করার জন্য যে পরিমাণ ধৈর্য্য শক্তি সাহসিকতা আত্মত্যাগ ও মনোবলের দরকার মাহে রমজান এর উপযুক্ত হাতিয়ার। একটি সুন্দর সুশীল আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা উন্নত জাতি গঠনের স্থায়ী ব্যবস্থাপত্রের নাম মাহে রমজান। শয়তানের প্ররোচনায় মানুষের মানবিক গুণাবলীতে গুণে ধরে, ক্ষয় হয়ে যায় তাদের সত্য বলা, সত্য ও সঠিক পথে চলার হিম্মত হারিয়ে ফেলে, অবিচার, পাপাচার, দুরাচার, জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়নে জড়িয়ে পড়ে ফলে সমাজ ব্যবস্থা নানাবিধ সমস্যায় কলুষিত হয়ে পড়ে। উল্লেখিত, সমাজ বিধ্বংসী বদঅভ্যাসগুলোকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে প্রতিটি ঈমানদারকে জান্নাতী চরিত্রের অধিকারী করে গড়ে তুলতেই মাহে রমজান। এই দৃষ্টিকোণ থেকে রমজান শব্দের অর্থ করা হয়েছে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া পাপ-পঙ্খিল হতে বিরত রাখা ইত্যাদি।
মানুষের মনুষত্ব ও মানবিক গুণাগুণগুলোকে প্রবৃত্তির তাড়না ও কুরিপু বাধাগ্রস্ত করে সুন্দর পৃথিবীর লোভনীয় বস্তুগুলোর মোহে পড়ে মহান মাবুদের বিধি নিষেধ বেমালুম ভুলে যায় একে অপরের প্রতিহিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা, গীবত, চোগলখোরী. গালি-গালাজসহ নানা ধরনের বদঅভ্যাসে লিপ্ত হয়ে পড়ে আর রোজা এসব অপকর্ম থেকে ব্যক্তিকে সুরক্ষা প্রদান করে বলেই রোজাকে হাদিসে “ঢাল” হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সারা বছর ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত থাকা দৈনন্দিন জীবনে ইসলামী কৃষ্টি কালচার লালন করার এক অনুপম অনুশীলনের জন্য যে নৈতিক মনোবল প্রয়োজন তা বলিষ্ঠতর করার ক্ষেত্রে সিয়াম সাধনার কোন বিকল্প নেই। রোজার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহতা’য়ালা সুরা বাকারার ১৮৩ নাম্বার আয়াতে বলেন “তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেন তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার”।
ইসলামের দার্শনিক ইমাম গাজালী রাহ: বলেন যে, মানুষকে ঐশ^রিক গুণে গুণাম্বিত করে তোলাই রোজার উদ্দেশ্য। মানুষ তখনই ঐশ^রিক গুণে গুণান্বিত হবে যখন তাকওয়া অর্থাৎ খোদা ভীতি বা পরহেজগারী অর্জন করতে সক্ষম হবে। তাকওয়া অর্জন সম্ভব হলেই আত্মোন্নয়ন সম্ভব। আর আত্মোন্নয়ন এমন একটি বিষয় যা ছাড়া কোরআনের আলোকে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েম করা সম্ভব নয়। আত্মিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা ছাড়া রমজানের সিয়াম সাধনা হবে সাহরি খেয়ে সারাদিন উপবাস থেকে দিনের শেষে ঘটা করে ইফতার করার নাম সর্বস্ব অনুষ্ঠান মাত্র। মানবতার মহান শিক্ষক, বিশ^সেরা মনোবিজ্ঞানী রাসুল্লাহ (সা.) বলেন “যে লোক মিথ্যা কথা ও মিথ্যা আমল পরিত্যাগ করলো না, তার খাদ্য ও পানীয় পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনোই প্রয়োজন নেই (বুখারী)।
রমজান হলো অব্যাহত তীব্র দহনের সমষ্টিগত একটি প্রশিক্ষণ কোর্স। যা কুপ্রবৃত্তিকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মানুষের দৈহিক সত্তার ওপর আত্মিক সত্তার নিয়ন্ত্রণ আরোপের অসাধারণ শক্তি যোগায় রোজা। বছর ঘুরে বারবার সেই রমজান মাস আমাদের মাঝে আসে এবং চলে যায়। আমরা ও সেই মাস ঘটা করে উৎযাপন করি। কিন্তু সমাজ থেকে পাপাচার অন্যায়-অত্যাচার ও জাহেলিয়াতের অবসান ঘটাবার শক্তি, সাহস ও যোগ্যতা আমাদের মাঝে কেন সৃষ্টি হচ্ছে না? কেন রমজান শুরু হওয়ার পূর্বেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দর আকাশচুম্বী হয়ে পড়ে? অন্যদিকে রমজান শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেশের মসজিদগুলো কানায় কানায় ভরে যায় আবার যেইমাত্র রমজান শেষ তুলনা মূলকভাবে মসজিদ অনেকাংশেই ফাঁকা! বিশেষ করে ফজরের নামাজে ১/২ কাতার এর বেশী নয় এরই বা কারণ কি? বিকেলে শহরের মসজিদগুলোতে হরেক রকমের ইফতারের আয়োজন, মুসুল্লীদের সমাগম দেখে মনে হয় না যে এদেশে চরিত্র বিধংসী উলঙ্গপনা, বেহায়াপনা ছবির পোস্টারে রাস্তার মোড়গুলো ছেয়ে যাবে! হোটেলগুলোতে দিনের বেলা দেদারসে খাওয়া দাওয়ার রমরমা বাণিজ্য চলবে! শপিং মলগুলোতে নারী পুরুষের বেপর্দা উপচে পড়া ভিড়, দোকানগুলোতে নারী পুরুষের মূর্তি বানিয়ে মহান আল্লাহর বিধান কাপড় পরিয়ে রাখবে হায়! নারী পুরুষ চেনা মুশকিল এরকম পোশাকে টেলাটেলি আর ধাক্কাধাক্কি করে কেনা কাটার ধূম! অবস্থার আলোকে মনে হয় যেন এ মাস চলে গেলে দোকান পাট সব বন্ধ হয়ে যাবে কোন কিছু কেনার সুযোগ থাকবে না। তাই ফরজ নামাজের ওয়াক্ত চলে যায় কেনা কাটার নেশায় অনেকে নামাজের কথা বেমালুম ভুলে যায় তবু আগে নতুন জামা চাই! ঈদে নতুন কিছু চাই! শুধু এখানেই শেষ নয় রমজানের অর্ধেক মাস যেতে না যেতেই পরিবহন সেক্টরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। অথচ পরিবহনের মালিক, চালক যাত্রী দোকানের ব্যবসায়ী ক্রেতা দেশের সরকার সবাই মুসলমান রোজাদার!
এর মূল কারণ কি? রোজা আসে রোজা চলে যায় রোজা আমাদেরকে কি দেয় আমরা রোজা হতে কি পাই? এর জবাব কি? আত্মিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা ছাড়াই সিয়াম সাধনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা সর্বস্ব রমজানুল মোবারক উৎযাপন করা। সত্যিকার অর্থে আমরা যদি সিয়াম সাধনা করতে পারি তাহলে রমযানুল মোবারক নি¤œবর্ণিত বিষয়গুলো আমাদেরকে উপহার দিবে যা একটি সমাজ, একটি দেশ তথা গোটা বিশ^ ক্রমান্বয়ে সুশীল বিশ্বে পরিণত হতে বাধ্য।
বিষয়গুলো নি¤œরূপ :
১. তাকওয়া অর্জন: খোদাভীতি এমন একটি বিষয় যা মানুষকে প্রকাশ্যে গোপনে রাতের আধারে একেবারে নির্জন অবস্থায় ও সকল প্রকার দুর্নীতি পাপাচার হতে রক্ষা করে। আর খোদাভীতি যখন কোন মানুষ অর্জন করবে তখন তার দ্বারা কোন প্রকার অন্যায় কাজ সম্ভব হবে না। রোজা এর প্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মহৌষধ।
২. সংযমী হওয়া: লোভ-লালসা, কাম, ক্রোধ, ইত্যাদি মানুষের পরম শত্রæ। এসকল কুরিপুর তাড়নায় মানুষ বিপদগামী হয়ে থাকে। রোজা মানুষকে লোভ-লালসা, রাগ, ক্রোধ ইত্যাদি কু-প্রবৃত্তি হতে হেফাজতের মাসব্যাপী ট্রেনিং দেয়।
৩. উত্তম চরিত্র গঠন: সৎ চরিত্র সুন্দর সমাজ বির্নিমানের পূর্বশর্ত। রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয় আর তাকওয়া মানুষের ব্যক্তি চরিত্রকে মহান আদর্শে গড়ে তোলে। ফলে ব্যক্তি ও সমাজ এক মহান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়।
৪. নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রশিক্ষণ: মাঝে মধে রাস্তা ঘাটে যানজটে অনেক সমস্যা তৈরী হয় ট্রাফিক নিয়মবহির্ভূত ড্রাইভিং এর জন্য। দীর্ঘ একটি মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রশিক্ষণ লাভ করা যায়। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খাওয়া আবার ইফতার খেয়ে কিছুক্ষণ পর আবার ট্রেনিং ক্লাস তথা তারাবির নামাযে সুশৃঙ্খল হয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট ইমাম (নেতার) অনুসরণের মাধ্যমে মহান মাবুদের সুমহান বাণী শ্রবণ করা এক বিশাল নিয়ম-শৃঙ্খলারই প্রশিক্ষণের নামান্তর।
৫. সময়ানুবর্তিতা শিক্ষা: নির্দিষ্ট সময় সাহরি, নির্দিষ্ট সময় ইফতার, নির্দিষ্ট সময় তারাবীর নামাজে হাজির হওয়া ইত্যাদি বিষয় সমূহের প্রতি খেয়াল করলে অতি সহজে বুঝা যায় যে রমজান আমাদেরকে সময়ানুবর্তিতা শিক্ষা দেয় যেন অফিস আদালতে কল কারখানা ফ্যাক্টরী রাষ্ট্র ভবনে সময়ের কাজ সময়ে করা যায় শত শত ফাইল ফিতা বন্ধী না থাকে।
৬. আল্লাহর ভালবাসা ও পুরস্কার লাভ : ইসলামে যতগুলো ইবাদত রয়েছে তার মধ্যে প্রায় সব ক’টিতে কিছুটা হলেও লোক দেখানোর সম্ভাবনা বা সুযোগ রয়েছে। কিন্তু রোজা এর সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে লোক দেখানোর কোন সুযোগ নেই। তাই যারা আল্লাহর ভালবাসা ও পুরস্কার লাভের আশা-ই রোজা রাখবে তারা তাই পাবে। হাদিসে কুদসীতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “রোজা একমাত্র আমারই জন্য, আমি নিজে এর পুরস্কার দিব”।
৭. সহানুভূতি : রমজানুল মোবারক এর অপর নাম সহানুভূতির মাস। সামাজিক সহানুভূতির ক্ষেত্রে রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজে ধনী, গরীব, অন্ধ খোড়া প্রতিবন্ধী ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের লোক বাস করে। ধনী ব্যক্তিরা সারাদিন রোজা রাখার ফলে উপবাস যাপনের কারণে গরীব দুঃখীদের কষ্ট বেদনা উপলদ্ধি করতে পারে। ফলে তাদের সাহায্য সহানুভূতির হাত প্রশস্ত হয়। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “এ মাস সহানুভূতির মাস”। সম্পদ হতে যাকাত আদায় করে সম্পদ ও আত্মার পবিত্রতা লাভ করার ইহাই হচ্ছে উত্তম উপায়। অবশ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যাকাত আদায় করতে পারলে বছরে শত হাজার কোটি টাকা যাকাত আদায় হবে যা দ্বারা বেকারত্ব দূর করা, নতুন নতুন দেশীয় শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।
৮. সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব : মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই। এ মাসে ছোট বড় বয়োবৃদ্ধ সকলেই সিয়াম সাধনা করেন। সন্ধ্যায় ইফতার, ভোর রাতে সাহরি খাওয়া এবং মাসের শেষে একই কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে দিয়ে মুসলমানদের সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে নবায়ন ও আরো সুদৃঢ় করা হয় যা সারা বছর লালন করলে ঐক্য ও সাম্য মজবুত হয়।
৯. দারিদ্র্য বিমোচন : দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধন শেষে ঈদুল ফিতরের দিন ধনী ব্যক্তিরা তাদের ফিতরা আদায়ের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে তারা ফিতরা, যাকাত আদায় করে থাকে। এই যাকাত, ফিতরা যদি পুরোপুরি হিসাব নিকাশের মাধ্যমে আদায় হতো তাহলে এ দেশে কোন দরিদ্র লোক খুঁজেই পাওয়া যেত না। অথচ নামকাওয়াস্তে কেউ কেউ কিছু কাপড়, শাড়ী, লুঙ্গী দিয়ে থাকেন ঢাকঢোল বাজিয়ে যা গ্রহণ করতে গিয়ে ভিড়ের চাপে অনেকে মারা যান, যেমনটা গত বছর ময়মনসিংহের নূরানী জর্দ্দার অফিসে ঘটেছে। তাই সরকারী উদ্যোগে যাকাত আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও নীতিমালা দরকার যেন যাকাত অনাদায়ে রাষ্ট্রীয় শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়।
১০. আদর্শ সমাজ গঠন : মারামারি, কাটাকাটি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, গীবত, চোগলখোরী, বাক-বিতন্ডা, মিথ্যা অপবাদ, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, জবর দখল ইত্যাদি অপকর্মের দ্বারা একটি সুশীল সমাজ অশান্তির আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। সরকার তার বাহিনী নিয়োগ করেও এসব অপকর্ম হতে দেশ সমাজকে শতভাগ রক্ষা করতে পারে না কিন্তু রমজানের সিয়াম সাধনের মাধ্যমে সমাজ হতে এসব অপকর্ম সমূলে বিলীন করা সম্ভব ইহাই সত্য ও বাস্তব তাই সকলের উচিৎ রমজানের সিয়াম সাধনে পরস্পর সার্বিক সহযোগিতা করা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো বাজার স্থিতিশীল রাখা সার্বিক পরিস্থিতি রোজাদারদের অনুকূলে থাকার ব্যবস্থা করা।
লেখক : কলামিষ্ট, বিশিষ্ট ব্যাংকার
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন