বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দীর্ঘদিনেও ব্রিজ নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

| প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : দীর্ঘদিনেও মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নে চারটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি’র প্রকৌশলীর বিচার ও দ্রæত নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনগন। বিকল্প রাস্তা তৈরী না করায় ভাঙ্গাচূড়া রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় মারাত্মক আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে স্থানীয় আলী নেওয়াজ ফকির। এর বিচারের দাবিতে সম্প্রতি সদর উপজেলার পাঁচখোলার চরকালিকাপুর গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় বাসিন্দরা।
এলজিইজি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে এলজিইডি’র অর্থায়নে টুকু মোল্লা নামের এক ব্যক্তির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের ‘আঙ্গুলকাটা-পাচঁখোলা-আড়িয়াল খাঁ ঘাট সড়কের ৪টি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করে। দীর্ঘ দিনেও চারটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে স্থানীয় জনগন। এছাড়া ব্রিজের বিকল্প ব্যবস্থা না করায় একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হয় চলাচলকারী লোকজন। এ সত্বেও এলজিইজির উপজেলা প্রকৌশলীসহ কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। স্থানীয় আলী নেওয়াজ ফকির নামে একজন মোটরসাইকেল চালক বিকল্প সড়ক না থাকায় যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে দুই চোখে গুরুতর আহত হয়। তাকে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে সত্ত¡াধিকারী টুকু মোল্লা ও সদর উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগি পরিবার।
এ ব্যাপারে পাচঁখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আক্তার হাওলাদার জানান, আমি বার বার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাসকে নিন্মমানের কাজের কথা বলেছি। এতে কোন কাজ হয়নি। বরং ঠিকাদার টুকু মোল্লা আমাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এই ব্রিজগুলো নির্মানের জন্যে বিকল্প রাস্তার তৈরির জন্যে টাকা বরাদ্দ থাকলেও কর্মকর্তা আর ঠিকাদারের যোগসাজসে সব আত্মসাত করেছে। আমি এই দোষীদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করে। সেই সাথে দ্রæত ব্রিজ নির্মাণের দাবি করি।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তিনি জেলা অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এবিষয় কথা বলতে বলেন। আর ঠিকাদার টুকু মোল্লা দাবি করেছেন, সবই সঠিক নিয়মে কাজ হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন