ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান
(প্রথম পর্ব)
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন, দ্বীনি পরিবেশ সৃষ্টি, ইসলামী তাহযীব তমদ্দুন রক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালনকারী পেশাজীবী একটি সংগঠন। সন্ত্রাস নয়, গাড়ি ভাঙচুর নয়, জানমালের ক্ষতি নয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান। এ সংগঠনের প্রাণপুরুষ মাদরাসা শিক্ষার অতন্দ্র প্রহরী মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর অনন্য গুণ ছিল সব শ্রেণী-পেশা মতাদর্শের লোককে এক প্লাটফর্মে একত্রিত করা। তার পথ অনুসরণ করেই বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর নেতৃত্বে জমিয়ত গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ যে ঐতিহাসিক শুকরিয়া সমাবেশ করেছে তা বিস্ময়কর। এ সম্মেলনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর হাতে জমিয়ত মহাসচিব যে দাবি ও প্রস্তাবনা পেশ করেন তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। প্রস্তাবনার শুরুতেই নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় সম্পর্কে মহান আল্লাহর বাণীর উদ্ধৃতি দেয়া হয়। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন
লাইনশাকারতুম লাআযিদান্নাকুম ওয়া লাইনকাফারতুম ইন্না আযাবি লাশাদিদ
অর্থ : যদি তোমরা নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় কর, আমি অবশ্যই তোমাদের নেয়ামত বৃদ্ধি করে দেব; আর যদি নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় না কর এটা নিশ্চিত যে আমার শাস্তি অত্যন্ত কঠিন। (সূরা ইবরাহীম-৭)
সমগ্র দেশে যখন আন্দোলন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি চলছে সে মুহূর্তে জমিয়ত শুকরিয়া মাহফিল কেন করছে? এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, মাদরাসা শিক্ষা তথা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে অতীত সরকারসমূহ যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে বর্তমান সরকার যেসব মৌলিক পদক্ষেপ নিয়ে মাদরাসা শিক্ষাকে জাতীয় শিক্ষার মানে উন্নীত করেছে তার শুকরিয়া আদায় করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। বর্তমান সরকারের বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, সম্মানিত সংসদ সদস্যবৃন্দ, শিক্ষা সচিব, মাউশি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবিসহ মন্ত্রণালয়ের এক কথায় শিক্ষা পরিবারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফলে মাদরাসা শিক্ষা যা পেয়েছে তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনার দাবি রাখে।
১। জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাদরাসা শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার সমমানে উন্নীত করা :
জাতীয় শিক্ষানীতি বর্তমান সরকারের এক অনন্য অবদান। শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শিক্ষানীতি হওয়াই ছিল যুক্তিযুক্ত। তারপরও সব ধর্ম, শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত নিয়ে রচিত এ শিক্ষানীতি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা এবং মাদরাসা শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ। যাতে মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা, প্রয়োজনীয়তা ও সমমর্যাদা স্বীকৃতি পেয়েছে। এ শিক্ষানীতিতে মাদরাসা বোর্ড সম্প্রসারণ, মাদরাসার ফাজিল, অনার্স ও কামিল স্তর পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
২। শতাব্দীকালের প্রাণের দাবি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা :
ব্রিটিশ আমলে আজ থেকে ৯৪ বছর আগে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব ওঠার পর পাকিস্তান আমলে তা হয়নি। বাংলাদেশ আমলেও এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমান সরকার, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, জমিয়তে তালাবা, আঞ্জুমানে তালামিযে ইসলামীয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনাসহ শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন, পীর-মাশায়েখ বিশেষ করে ছাহেব কেবলা আব্দুল লতীফ ফুলতলী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর ঐতিহাসিক লংমার্চ, শর্র্ষিণার পীর ছাহেব কেবলাসহ অসংখ্য পীর মাশায়েখ, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সংস্থার অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে শতাব্দীকালের আন্দোলনকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে যা আলেম সমাজ, পীর মাশায়েখ তথা এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ দেশের আলেম সমাজ ও দীনদার মুসলিম জনতা চায় এ বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্য আলেমদের দ্বারা পরিচালিত হবে। যোগ্য ওয়ারিশেনবী তৈরি করে দেশ-জাতির খেদমত করার সুযোগ করে দেবে।
৩। স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা :
আশির দশকে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সম্মেলনসমূহ বিশেষ করে ১৯৮৫ সালের রমনা গ্রীণে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক সম্মেলনের জোরালো দাবি এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অবিরাম প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও অতীত সরকারসমূহ স্বতন্ত্র মাদারাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেনি। বর্তমান সরকার এ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে মাদরাসা শিক্ষাকে তার গৌরব ও মর্যাদা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে। জমিয়ত চায় দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে এ অধিদপ্তরে আলেম সমাজের নেতৃত্বে একটি বহুমুখী প্রশাসন গড়ে উঠবে।
৪। স্বতন্ত্র কারিকুলাম অনুযায়ী যুগোপযোগী পাঠ্যবই রচনা ও বিনামূল্যে বই বিতরণ :
মাদরাসা শিক্ষার জন্য সুনির্ধারিত, সুবিন্যস্ত ও যুগোপযোগী কারিকুলাম ছিল না। বর্তমান সরকার যুগ চাহিদার আলোকে তৈরি কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠ্যবই প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সুযোগ্য মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী ও জমিয়ত নেতৃবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ইসলামী ও আরবি বিষয়সমূহের পা-ুলিপি তৈরি করে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রকাশ ও বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। বিনামূল্যে প্রায় ৩৩ কোটি বই যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সমগ্র বিশ্বে এ ধরনের কাজের নজির নেই।
এক সময় এই আলেমগণ সমাজের বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে যাকাত ফেতরার টাকা আদায় করে শিক্ষার্থীদের বই-কিতাব কিনে দিতেন। পড়া শুরু করতে এক মাসেরও অধিক সময় লাগত। বর্তমানে বছরের প্রথম দিন একসঙ্গে পাঠদান শুরু এটা শিক্ষা খাতে এক বিপ্লব।
৫। সরকারি অর্থায়নে ভবন নির্মাণ :
মাদরাসা শিক্ষা চির অবহেলিত। পীর-মাশায়েখ, আলেম-উলামার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাজার হাজার মাদরাসা গড়ে উঠেছে। অবকাঠামোর অভাবে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। অতীত সরকারসমূহ বিদেশি অর্থে ছোটখাটো প্রজেক্ট নিয়ে কিছু কিছু কাজ করেছে কিন্তু সরকারি অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ হয়নি। বর্তমান সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে। বর্তমানে আরও দেড় হাজার প্রক্রিয়াধীন, যা মাদরাসা শিক্ষার পরিবেশ গঠনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।
৬। ফাজিল ¯œাতক শ্রেণী পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদান :
সরকার গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে ফাজিল ¯œাতক শ্রেণী পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদান করায় উচ্চ শিক্ষার হার বিশেষ করে ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বৃত্তির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে তা হবে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
৭। ইবতেদায়ী ৫ম ও দাখিল ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তি প্রদান :
স্কুলের ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তি পেলেও মাদরাসা তা থেকে বঞ্চিত ছিল। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের দাবির মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষা পরিবারের আন্তরিকতায় সরকার সাধারণ শিক্ষার ন্যায় ইবতেদায়ী ৫ম ও দাখিল ৮ম শ্রেণীতে সরকারি বৃত্তি চালু করেছে। মাদরাসা শিক্ষার ইতিহাসে এটি একটি সাড়া জাগানো পদক্ষেপ। এর ফলে মেধার বিকাশ সাধনের সুযোগ পেয়ে অধিকহারে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হয়েছে।
৮। শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান :
দেশে সাধারণ শিক্ষার জন্য শতাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউট থাকলেও মাদরাসার জন্য বিএমটিটিআই নামে একটি মাত্র শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ কারণে মাদরাসা শিক্ষকগণ প্রশাসনিক ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ থেকে মাহরূম ছিল। বর্তমান সরকার প্রতিটি জেলায় জেলা শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রশাসনিক ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
৯। মাদরাসা শিক্ষায় বিএমএড কোর্স চালু করা :
সাধারণ শিক্ষায় বিএড, এমএড কোর্স চালু থাকলেও যুগ যুগ ধরে মাদরাসা শিক্ষা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমান সরকার মাদরাসা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বিএমটিটিআইতে বিএমএড কোর্স চালু করেছে, যা বহু পরে হলেও এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
১০। ৩১টি মাদরাসায় ফাজিল ¯œাতক শ্রেণীতে অনার্স কোর্স চালু করা :
বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি পদক্ষেপ মাদরাসা শিক্ষায় ফাজিল ¯œাতক পর্যায়ে অনার্স কোর্স চালু করা। মাদরাসা শিক্ষায় অনার্স কোর্স চালু হবে এ কথা কেউ ভাবতেই পারেনি। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর আন্তরিকতা, ইবির ভিসি প্রফেসর ড. আলাউদ্দিনের উন্নত মানসিকতা, ইবির রেজিস্ট্রার ও একাডেমিক কমিটির ইতিবাচক সিদ্ধান্তে ৩১টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু হয়। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সম্মানিত মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর নেতৃত্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মতামতের ভিত্তিতে মাদরাসা শিক্ষার হিতাকাক্সক্ষী ইবির স্বনামধন্য প্রফেসরগণের উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক মানের কারিকুলাম-সিলেবাস প্রণীত হয়, যে সিলেবাস অনুসরণে যোগ্য আলেম তৈরির পথ সুগম হয়।
১১। ৩১টি মাদরাসাকে মডেল মাদরাসায় উন্নীত করা :
মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার অবকাঠামোর উন্নয়নে সাইন্সল্যাব, কম্পিউটারল্যাবসমৃদ্ধ ৩১টি মাদরাসাকে মডেল মাদরাসায় রূপান্তরিত করেছে, যা মাদরাসা শিক্ষাকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
১২। মাদরাসার অধ্যক্ষ, সুপারগণের স্কেলের বৈষম্য দূরীকরণ :
মাদরাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও শিক্ষকগণের বেতন স্কেল অতীত সরকার সমূহের আমলে ধাপে ধাপে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার সাধারণ শিক্ষার অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকদের চেয়ে মাদরাসা শিক্ষার অধ্যক্ষ-সুপারগণের স্কেল একধাপ এগিয়ে দিয়ে সমান স্কেলে স্থাপন করে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে মাদরাসার অধ্যক্ষ, সুপারগণ তাদের ন্যায় মর্যাদার অধিকারী হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সামাজিকভাবে সম্মান পেয়েছেন। অর্থনৈতিকভাবেও হয়েছে সমৃদ্ধ।
১৩। দুই শতাধিক মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করা :
সরকার দুই শতাধিক মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করে এ শিক্ষাকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
১৪। দাখিল ও আলিম পর্যায়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদ সৃষ্টি :
সরকারি আইনে দাখিল ও আলিম পর্যায়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি স্থাপনের কথা থাকলেও লাইব্রেরিয়ান না থাকায় বেশির ভাগ মাদরাসায় লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুন নাসেরের আন্তরিকতায় দাখিল ও আলিম মাদরাসায় সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদ সৃষ্টি হয়। এ পদে শত শত মাদরাসায় লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দেয়া হলেও অদ্যাবধি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এ পদটি এমপিওভুক্তির জন্য সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। (চলবে)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন