ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, কেন্দ্র দখল, বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বিতাড়নসহ নানা কারচুপি ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের নবসৃষ্ট কর্ণফুলী উপজেলার প্রথম নির্বাচন গতকাল (রোববার) সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির প্রার্থী এসএম ফোরকান তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেন। একই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মুহাম্মদ ওসমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্মে মিরজান শামীমা ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্নী আকতার, ইসলামী ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা মুছাও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
বিএনপিসহ অন্য প্রার্থীদের অভিযোগ ভোটের আগ থেকেই পুলিশের সহযোগিতায় সরকারি দলের প্রার্থী ও তাদের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে। অবৈধ প্রভাব খাটানোর অভিযোগে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি ছৈয়দ জামাল আহমদকে একঘণ্টা আটকে রাখে র্যাব। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্র ও শনিবার দুই দিন ধরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
সকাল ৭টায় ভোট শুরুর পূর্বেই যুবলীগ- ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্রে ককটেল ফাটিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ৪২টি ভোট কেন্দ্রের ২৬টি কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। ১৬টি কেন্দ্রে এজেন্টকে ঢুকতে দিলেও তাদের এক ঘণ্টা পর বের করে দেয়। এরপর তারা দরজা বন্ধ করে নৌকার পক্ষে ব্যালেটে সিল মারে। বিএনপির প্রার্থীরা বার বার প্রশাসনের র্যাব, পুলিশ, বিজিবিকে বলা শর্তেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এহসান এ খাঁন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন হয়েছে প্রহসনের নির্বাচন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন সুষ্ঠ করার কথা বললেও কার্যত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন দিন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। এ প্রতিবেদক বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পায়, অধিকাংশই কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। ভোটারের নামে কিছু যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখলে রাখে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন