বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উত্তরে চালের দরপতন

ফুটপাতে মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে

মহসিন রাজু, বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোপনে মজুদ করে রাখা চাল ও ডাল ছেড়ে দেওয়ায় উত্তরের হাট বাজারে কমে আসছে চালের দাম। খুচরা বিক্রেতাদের ভাষায় চালের দাম শুধু কমছেনা ‘রীতিমত দরপতন ঘটছে চালের বাজারে’। গতকাল বৃহষ্পতিবার বগুড়ার কালিতলা, খান্দার, গোদারপাড়া ৪ মাথা বাজার, বখশিবাজারের পাইকারী খুচরা বাজারে সরেজমীনে দেখে পাশাপাশি ঈশ্বরদী, সৈয়দপুর, মোকামতলা, নওগাঁ ও জয়পুরহাটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রায় হাওয়া হয়ে যাওয়া মোটা চালের সরবরাহ বেড়েছে। বেড়েছে আতপ চালের ও সেই সাথে মশুর ডাইলেরও সরবরাহ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য বগুড়ার ফুটপাথে বসে অন্তত জনা পঞ্চাশেক ফেরিওয়ালা ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে মশুরের ডাইল !
বগুড়ার চালের খুচরা বাজারে গত মঙ্গল ও বুধবার যে মোটা চাল ( বিআর -১১ ) বিক্রি হয়েছে ৫২/ ৫৩ টাকা কেজি দরে। সেই চাল গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ৪৪/ ৪৫ টাকা এবং বিকেলেই তা’ আরো কমে ৪২/৪৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে ৬৫ টাকায় ওঠা নাজির শাইল সপ্তাহের ব্যবধানে ৫টাকা কমে ৬০ টাকায় এবং পাইজাম ও কাটারি ৬৪ টাকা থেকে কমে ৫৭/৫৮ টাকায় নেমে এসেছে। মধ্যবিত্বের পছন্দের বিআর - ২৮, বিআর-২৯ ও বিআর- ৪৯ বিক্রি হচ্ছে স্থান ও প্রকার ভেদে ৫৩/৫৪/৫৫ টাকা দরে। বগুড়ার বখশি বাজারের চালের খুচরা বিক্রেতা রতন সরকার ও কালিতলার ব্যবসায়ী মাহমুদুল হক নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে জানালেন, ‘চালের দাম আরো কমবে।’ কেন কমবে বা কেন কমছে জানতে চাইলে কালিতলা বাজারের বৃহত্তম চালের পাইকার গোলাম হোসেন বললেন, ‘অটোরাইস মিল ও কিছু আমদানীকারক কাম মজুদদারদের গোডাউনে বিপুল পরিমানে চালের মজুদ ছিল, মুলত মজুদের কারণেই পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে চালের সংকট লেগেই ছিল। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে নজরদারি বৃদ্ধি, কিছু কিছু গোডাউনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, আস্তে আস্তে এলসির মাধ্যমে আমদানিকরা চালের সরবরাহ বৃদ্ধি, আশ্বিন / কার্ত্তিক মাসেই নতুন আউশ ও বিনা-৭ জাতের নতুন ধান বাজারে আসার সম্ভাবনা, তারপরে অঘ্রানে আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা মাথায় রেখেই মজুদদাররা গোডাউন খালি করে দিচ্ছে। ’ এছাড়া ভিন্ন একটি সুত্রে পাওয়া খবরে জানাগেল, মজুদদারদের গোডাউনে মজুদ চাল ও ডাইল গুলো প্রায়ই খাবার অযোগ্য হয়ে পড়ার কারনেও বাজারে চাল ছাড়ছে মজুদদার সিন্ডিকেট। যার কারনেই চালের এই দর পতন !
বগুড়া শহরের ফুটপাত গুলোতে গত কয়েকদিন ধরে একদল ফেরিওয়ালা কলা ও অন্যান্য ফল বিক্রি বাদ দিয়ে বিক্রি করছে মশুর ও ছোলার ডাইল।এক সপ্তাহ আগেও এই মশুর ও ছোলার ডাইল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা ’ ৬০ / ৫৫ টাকায় নেমে এসেছে। ফেরিওয়ালারা জানালো, তারা বগুড়ার নামাজগড় পাইকারি ডাইলের আড়ত থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে এই ডাইল কিনে এনে সুবিধামত দরে বিক্রি করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মজুদদারদের গোডাউনে ডাইলের বিশাল মজুদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়েই তারা কম দামে ডাইল ছেড়ে দিচ্ছে। অর্থাৎ মজুদ চাল ও ডাইলের খাদ্যমান নষ্টের আগে পর্যন্ত মজুদ রেখেই চাল ডাইলের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়েছিল মজুদদার সিন্ডিকেট বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আবুল কাশেম ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৯ এএম says : 0
রোহিংগাদের মানবিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি কুটনৈতিক প্রচেষ্টা ছালিয়ে রোহিংগাদের তাদের দেশ মায়ানমার পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন