মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

এমপি রানাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ৫:০৫ পিএম

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামী এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

বুধবার সকাল ১১টায় বিচারিক হাকিম টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত প্রথম জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনছুর মিয়া এজলাসে উঠেন। কার্যতালিকার প্রথমেই এই চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কাজ শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদ এর স্ত্রী নাহার আহমেদ সহ তিনজন সাক্ষী আদালতে হাজিরা প্রদান করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষ ও আসামী পক্ষের বক্তব্য শুনেন বিচারক। পরে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানিয়েছেন, এমপি রানাকে অসুস্থতা জনিত কারণে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তার জন্য ভ্রমণ নিরাপদ নয় বিধায় তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মো. মনিরুল ইসলাম খান। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট আব্দুল গফুর, জোয়াহেরুল ইসলামসহ অন্যরা। অন্যদিকে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আব্দুল বাকী মিয়া, এডভোকেট জহিরুল ইসলাম জহিরসহ অন্যান্য আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে তাঁর কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর রহমান খান ও তাঁর তিন ভাই সাবেক পৌর মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর আমানুর ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।

গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর ও তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর বিভিন্ন সময় মামলার চার্জ গঠনের দিন নির্ধারিত হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়নি। সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর আমানুরকে আদালতে হাজির করে চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন