টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় এমপি রানাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গত বুধবার ৫দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুম এই আবেদন মঞ্জুর করেন ।
গত বুধবার যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এমপি রানাকে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, আজ সকাল সাড়ে ১১টায় এমপি রানাকে কাশেমপুর কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয় । পরে তার উপস্থিতিতেই এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম। আসামী পক্ষের রিমান্ড না মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়াসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী।
পরে এসময় আসামীর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকা আমানুর রহমান রানা আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দেশ। সড়যন্ত্রমূলকভাবে পুলিশ জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে আমাকে হয়রানী করার জন্য পুলিশ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিঞ্জ আদালত ন্যায় বিচারের প্রতীক । আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।
এদিকে মামলার বাদী মৃত্যুবরণ করায় বাদীর স্ত্রী আছিয়া খাতুন আদালতে একটি হলফনামার মাধ্যমে জানান, আমি এই মামলায় সুনির্দিষ্ট আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছি । এ মামলায় আমানুর রহমানকে সন্দেহ করিনা। এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
অপরদিকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যা চেষ্টার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ঘাটাইল আমলী আদালতে আমানুরকে গ্রেফতার দেখানোর অপর আবেদনটি করেন। পরে আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার ১০ মে আবেদনের শুনানির জন্য ধার্য করেছিলেন। পরে বিচারক এ মামলায় সাংসদকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা এ মামলায় জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন