টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার বাদী নাহার আহমেদের জেরা সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ২৭ জুন পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে আদালত।
আজ বুধবার সকালে (১১.১৫মিনিট) মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১১.৩০ মিনিটে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ায় আদালতে এ মামলার বাদী নাহার আহমেদের জেরা শুরু করেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা জেরা শেষে পঞ্চম দফায় বাদীর জেরা সমাপ্ত হয়। আদালতের বিচারক আজকের দিনের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন এবং পরবর্তী অন্যান্য সাক্ষীর দিন ২৭ জুন ধার্য করেন ।
এর আগে মামলার বাদী ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ গত মাসের ১৮ তারিখের তার অসমাপ্ত সাক্ষ্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
এদিকে টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় এমপি রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুম এই আবেদন মঞ্জুর করেন ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এমপি রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
অপরদিকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যা চেষ্টার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ঘাটাইল আমলী আদালতে আমানুরকে গ্রেফতার দেখানোর অপর আবেদনটি করেন। পরে আদালতের বিচারক আগামী ১০ মে আবেদনের শুনানির জন্য ধার্য করেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন