আওয়ামী লীগের পছন্দের লোক হিসেবে পরিচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বিএনপি ও এর প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার সে প্রশংসার বিষয়টি গত ক’দিন ধরে দেশের সর্বত্র আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। প্রশংসার বিষয়বস্তুর চেয়ে তিনি কেন এবং কী উদ্দেশ্যে জিয়াউর রহমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন, তা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন কেউ কেউ। নানাজন নানাভাবে ঘটনাটি ব্যাখ্যা করছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে বিতর্কের ঝড়। গত ১৫ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে ছিল নির্বাচন কমিশনের সংলাপ। সে সংলাপ বৈঠকে সিইসি নূরুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত দিয়েই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সিইসি তার বক্তৃতায় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির শাসনামলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে তারও প্রশংসা করেন।
সিইসির এমন কথাবার্তা সঙ্গতকারণেই জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কেননা, বর্তমান সিইসি নিয়োগ পাবার পর বিএনপি তাকে এক রকম প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, এ সিইসির অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। সে সময় বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সিইসি নূরুল হুদা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ কর্তৃক স্থাপিত বিএনপি সরকার বিরোধী প্ল্যাটফরম ‘জনতার মঞ্চে’র একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিএনপি সরকারের পতনের জন্য তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, বিএনপির এ অভিযোগ মিথ্যে নয়। জনতার মঞ্চের কর্মী হওয়ার কারণে ২০০১ সালের নির্বাচনে জিতে চার দলীয় জোট সরকার গঠন করার পর কে এম নূরুল হুদাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আদালতের নির্দেশে ভূতাপেক্ষ প্রমোশনে তাকে সচিব করা হয়। তবে সচিব পদে একদিনও তিনি কাজ করার সুযোগ পাননি। সচিব বানিয়ে তাকে স্বাভাবিক অবসরে দেয়া হয়।
সিইসি নূরুল হুদার মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। কেননা, তার কাছ থেকে এমন মন্তব্য কেউই আশা করেননি। বিশেষত তাকে পছন্দকারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যেখানে জিয়াউর রহমানকে ইতিহাসের খলনায়ক বানাতে সর্বদা তৎপর, সেখানে তিনি তাঁকে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলে অভিহিত করেছেন। তার এ মন্তব্য ক্ষমতাসীন দলের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। ফলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, প্রধান বিচারপতির পর এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়েন কীনা। সরকারপক্ষ এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া অবশ্য দেয়নি। তবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে দেয়া সিইসির বক্তব্য বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল হতে পারে। এতে বিএনপি আশাবাদী হয়েছে। খুশি খুশি ভাব দেখাচ্ছে।’ গত ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁও-এ এক অনুঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের আরো বলেছেন, দেখতে হবে সিইসি কী বলেছেন। আমাদের সাথেও সংলাপ আছে, তখন জানতে পারব সিইসি আসলে কী বলেছেন। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুব লীগের সভাপতির দেয়া বিবৃতি থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, ক্ষমতাসীন দল সিইসির মন্তব্যকে সহজভাবে নেয়নি। গত ১৬ অক্টোবর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, প্রধান বিচারপতিকে এ রকম ভূতে পেয়েছিল, এবার ভূতে পেয়েছে সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে। বিএনপির মুখপাত্রের মতো কথা বলে সিইসি তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বলেও বিবৃতিতে মন্তব্য করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। তিনি প্রশ্ন করেন, জিয়া যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা হন, তাহলে জাতির পিতা কি গণতন্ত্রের হত্যাকারী? আর গত ১৭ অক্টোবর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে সিইসিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনারা রেফারি। আপনাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। সেটাই করুন। আর কথা কম বলুন। একজন কথা বেশি বলেছেন, দেখছেন না কি হয়েছে।’ একই দিন তথ্য অধিদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সিইসিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘সাংবিধানিক পদে থেকে ইতিহাস চর্চা করবেন না।’ তথ্যমন্ত্রী জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সিইসির মন্তব্য খÐন করে বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। কিন্তু আমি বলতে চাই, জিয়াউর রহমান সামরিকতন্ত্রের প্রবক্তা।’ ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপরোক্ত মন্তব্যসমূহ থেকে আন্দাজ করা যায়, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সিইসির মন্তব্য তাদেরকে কতটা ক্ষুব্ধ করেছে। আর এ ক্ষুব্ধতা অস্বাভবিক বা বিস্মিত হবার মতো কোনো ব্যাপার নয়। কারণ, তাদের পছন্দে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি তাদের চিন্তা চেতনার একেবারে উল্টো মন্তব্য করবে, সেটা মেনে নেয়া তাদের পক্ষে কি সম্ভব?
এদিকে এ বিষয়ে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলায় তিনি সিইসির পদত্যাগ দাবি করেছেন। গত ১৬ অক্টোবর তার দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ বৈঠক ছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করার পর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সিইসির মন্তব্যের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সিইসির কাছে কৈফিয়ৎ চান কাদের সিদ্দিকী। সিইসির ব্যাখ্যা মনোপুত না হওয়ায় বৈঠকের শেষ পর্যায়ে সংলাপ বর্জনের ঘোষণা দেন কাদের সিদ্দিকী। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বর্জনের আগে নির্বাচন কমিশনে আঠারো দফা প্রস্তাব জমা দিয়েছে কাদের সিদ্দিকীর দল। যে বৈঠক তিনি বর্জন করেছেন, সে বৈঠকেই আবার তার দলের প্রস্তাবনা জমা দিয়ে এসেছেন। এটা কোন ধরনের বর্জন তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। কাদের সিদ্দিকীর হঠাৎ এমন আওয়ামী দরদী হয়ে ওঠার পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা অনেককেই কৌতূহলী করে তুলেছে।
অপর দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্যকে বিএনপির জন্য প্রশংসার ফাঁদ বলে অভিহিত করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। গত ১৭ অক্টোবরের একটি দৈনিক তাদের এ অভিমত তুলে ধরেছে। তারা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে সিইসি এ পথ বেছে নিয়েছেন। এজন্য তিনি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অতীতের ভালো কিছু ভূমিকা তুলে ধরার কৌশল গ্রহণ করেছেন। তারা অবশ্য এও বলেছেন যে, সিইসির কাজ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সামনে রেখে জনমনে আস্থা তৈরি করা। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করতে দৃশ্যমান উদ্যোগী হওয়া। জিয়াউর রহমান ও বিএনপির প্রশংসাকে মুখের কথায় দলটিকে সিইসির তুষ্ট করার প্রয়াস বলেও তারা মন্তব্য করেছেন।
তা সিইসি যে উদ্দেশ্যেই এসব কথা বলে থাকুন, প্রশ্ন হলো, তিনি কি অসত্য কিছু বলেছেন? যারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের খোঁজ-খবর রাখেন, তারা এক বাক্যে বলবেন যে, সিইসি অসত্য বা অযৌক্তিক কিছু বলেননি। যাদের বয়স ষাটের ওপরে বা কাছাকাছি তারা তো সেসব ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র কাদের হাতে প্রথম খুন হয়েছিল সে কাসুন্দি ঘাঁটা প্রয়োজন মনে করছি না। অনুসন্ধিৎসুরা বাকশাল গঠনের ইতিহাস পাঠ করলেই জেনে যাবেন বিষয়টি। গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে যে দু’জন সাহসী মানুষ সে সময় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, তাদের একজন এখনও জীবিত। তিনি স্বনামখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আরেকজন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী। সিইসি জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলায় আজ যাদের গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা দয়া করে বলবেন কি ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারির পরে বাংলাদেশের কোথায় গণতন্ত্র জীবিত ছিল? জাতীয় সংসদে মাত্র তেরো মিনিটের আলোচনায় সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তে যে একদলীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছিল সেটা কি গণতন্ত্রকে হত্যা করা নয়?
আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী এবং তাদের অনুগামী-অনুসারীরা যাই বলুন না কেন, জিয়াউর রহমান যে এ দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক, সেটা মিথ্যে হয়ে যাবে না। এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার উল্লেখ আছে। ১৯৭৫ সালের মধ্য আগষ্ট থেকে ৭ নভেম্বরের সময়কালে নানা ঘটনার পরম্পরায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে জিয়াউর রহমানের। ঘটনার ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদের জারি করা সামরিক শাসন হাতে পান জিয়া। দেশের একচ্ছত্রাধিপতি হওয়ার সুযোগ তার সামনে ছিল। একদিকে সামরিক শাসনের দÐ, অন্যদিকে একদলীয় শাসনের সাংবিধানিক বিধান। জিয়া যদি চাইতেন যে, তিনি এককভাবে দেশের ক্ষমতা ভোগ করবেন, সহজেই তা পারতেন। মনে রাখতে হবে, তখনও সংবিধানে একদলীয় ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। তিনি নিজেও বাকশালের সদস্য ছিলেন। জিয়া ইচ্ছা করলে সেই সংবিধান মোতাবেক বাকশালের একক প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাকে ভোগ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং দেশে বহুদলীয় রাজনৈতিক কর্মকাÐ শুরু করার লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালেই বাকশাল আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিল করে রাজনৈতিক দলসমূহের পুনরুজ্জীবনের ব্যবস্থা করেন। ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি দিয়ে রাজনীতির বন্ধ অর্গলকে অবারিত করেন। পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাÐ শুরুর আগে ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর মাসে জিয়া দেশের সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠক করেন। সে বৈঠকে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাপ (মোজাফ্ফর), কমিউনিস্ট পার্টি, ডেমোক্রেটিক লীগসহ প্রায় সব দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সে বৈঠকে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আমরা একটি অবাধ গণতন্ত্র চালু করতে চাই। দেশের শাসন ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে চাই। একদলীয় নয়, বাংলাদেশে থাকবে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। তার পরের ইতিহাস সবারই জানা। ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বহুদলীয় পদ্ধতির ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে আওয়ামী লীগসহ সবগুলি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
বস্তুত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইতিহাসের আলোকেই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কথাটি বলেছেন। তিনি ইতিহাস বিকৃতও করেননি, অতিরঞ্জিতও কিছু বলেননি। একটি ঐতিহাসিক সত্যকে তুলে ধরেছেন মাত্র। কিন্তু সত্য যে সবার কানে সয় না।
সিইসির এমন প্রশংসায় বিএনপি কতটা আহ্লাদিত হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সরকারের পছন্দের ব্যক্তিটির মুখ থেকে নিজেদের দল এবং প্রতিষ্ঠাতার প্রশংসা শুনে তারা হয়তো পুলকিত। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে, নির্বাচনের ব্যবহারিক মাঠে (প্র্যাকটিক্যাল ফিল্ড) এসব কথা কোনো কাজে আসবে না, যদি সিইসি ও তার পারিষদ কাঙ্খিত ভূমিকা পালন না করে। বিএনপি যদি সিইসির এ বক্তব্যকে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার পূর্বাভাস বলে ধরে নেয়, তাহলে ভুল হবে। দল বা প্রতিষ্ঠাতার প্রশংসা নয়, বরং নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতাই বেশি প্রয়োজন। সুতরাং সিইসির মন্তব্যে বিএনপির খুব বেশি উচ্ছ¡সিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন