ঢাকাস্থ সৌদি আরবের দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে হত্যার দায়ে আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদন্ডাদেশসহ হাইকোর্টের পুরো রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে অন্য তিন আসামি আল আমিন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রয়েছে। ৫ আসামির মধ্যে অন্যজন পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে হাইকোর্টের মতোই সর্বোচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। দু’দফা শুনানি নেয়ার পর গতকাল বুধবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের মোট চারটি আপিলের চূড়ান্ত এ রায় দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
সকালে ৯টায় তিন বিচারপতিকে সঙ্গে নিয়ে এজলাসে বসলে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। দুই শব্দের রায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, আপিল ডিসমিস। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগ চারটি আপিলই খারিজ করে দিয়েছে। সাইফুলের আইনজীবী সিকদার মকবুল হক বলেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব রিভিউ চাইব কি না। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাইফুল বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আল আমিন পটুয়াখালীর হাজিখালী গ্রামের ফারুক ঘরামীর ছেলে, লালু শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার গোয়ালকোয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে এবং খোকন ময়মনসিংহ নগরের নাটকঘর বাইলেনের আব্দুস সালামের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত সেলিম ভোলার শশীভূষণ থানার উত্তর চরমঙ্গল গ্রামের সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।
এ মামলায় পাঁচ আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। আর হাইকোর্ট তাদের মধ্যে সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল, আল আমিন, লালু ও খোকনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সেলিমকে খালাস দেন। এর আগে গত ১০ অক্টোবর ধার্য দিনে রায় না দিয়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুলের পক্ষে পুনরায় শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেদিন মাহমুদা বেগম জানিয়েছিলেন, সাইফুলের পক্ষে আগে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। এখন তার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর সর্বোচ্চ আদালত পুনঃশুনানির সিদ্ধান্ত জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন