বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট জুয়া (বেটিং)। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়া-মহল্লায় হরদম চলছে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বাজি। বিপিএলের বাজির আসর বসতে না দেওয়ায় গত এক সপ্তাহ আগে বাড্ডায় খুন হয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। ক্রিকেট খেলা নিয়ে এ ধরনের জুয়া বন্ধে বিসিবির উদ্যোগ কী, গত কদিনে এটাই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেদের পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, সারাদেশে ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়া বন্ধে তাঁদের খুব বেশি কিছু করার নেই। তবে স্টেডিয়ামে কাউকে যদি বেটিং করতে দেখা যায়, তবে সেটি বন্ধে বিসিবি সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই নেবে। এরই মধ্যে ৭৭ জন জুয়াড়িকে ধরেছে বিসিবি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬৫ জন। ১২ বিদেশি জুয়াড়ির ১০ জনই ভারতীয়। সবাইকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশে ক্রিকেট জুয়া নিয়ে আইন না থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করা যায়নি।
তবে জুয়াড়ি ধরলেই যে ক্রিকেট বাজি বন্ধ হবে, তার নিশ্চয়তা কতটুকু। ক্রিকেট নিয়ে জুয়া বন্ধে নিজেদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে ইসমাইল বললেন, ‘সচেতনতা তৈরি ছাড়া বিসিবির তেমন কিছু করার নেই। আমরা স্টেডিয়ামে এলইডি ও স্কোরবোর্ডে এটা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সারাদেশে যে বেটিং হচ্ছে, সেটা বন্ধে আমাদের কিছু করার নেই। এটা পুরোপুরি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপার। আমাদের দেশে বেটিং নিয়ে কোনো আইনও নেই। তবে স্টেডিয়ামের মধ্যে দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা এই দুটি ইউনিট কাজ করে আসছে। স্টেডিয়ামের মধ্যে বেটিং বা এ রকম কিছু হলে সেটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে এই দুই ইউনিট। কিন্তু জুয়াড়িদের ধরলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করতে পারি না।’
স্টেডিয়ামে বাজি ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে মুঠোফোন। যেহেতু টিভিতে ৪-৫ বা কোনো কোনোটি ৯ সেকেন্ড দেরিতে স¤প্রচার করা হয়, এই সময়টা কাজে লাগিয়ে বেটিং করছে তারা। ক্ষতিকর এই কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান জানাল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন