চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শনে এসেছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) আনোয়ার লতিফ। এর জন্য ঘটনাস্থল চর আলাতুলির ওই আস্তানার পাশেই পূর্বে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে র্যাবের এডিজি আনোয়ার লতিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শনে আসেন। এরপর তিনি হেলিকপ্টার থেকে নেমে ঘটনাস্থলে যান। এর আগে ঢাকা থেকে বোমা ডিস্পোজাল টিম ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা হতে আসা ১২ সদস্যের বোম ডিস্পোজাল টিম গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর আলাতুলির ওই জঙ্গি আস্তায় গিয়ে পৌঁছেন। এরপর সেই দলের সদস্যরা জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী র্যাব-৫এর মিডিয়া উইংসের পরিচালক মুফতি মাহমুদ জানান। তিনি আরও জানান, ধারনা করা হচ্ছে বাসার মধ্যে দুটি মরদেহ পড়ে আছে। র্যাব রাজশাহী-৫ এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, র্যাব সদস্যরা রাত থেকে ঘিরে রাখে বাড়িটি। এরপর থেকে জঙ্গিদের বারবার আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হয়। কিন্তু বাড়ির ভিতর থেকে দুই দফায় বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। জঙ্গি আস্তানায় আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে। বিস্তারিত আবারও পরে জানাবেন বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব-৫। এদিকে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাতে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে সোয়াট সদস্যরা। রাজশাহী র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুব আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চর আলাতুলি গ্রামের একটি বাড়ি ঘেরাও করে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। এসময় জঙ্গিরা বাড়ির ভেতর থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলি করে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এরপর বাড়িটিতে আগুন লেগে যায়।
এ ঘটনায় বাড়ি মালিক রাসিকুলসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটককৃত অপর দু’জন হলেন, রাসিকুলের স্ত্রী নাজমা ও তাঁর শ্বশুর খোরশেদ আলম। রাসিকুলের বাড়ি গোদাগাড়ীর চড় আষাড়িয়াদহ গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের পাকুর ছেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন