রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা সেই বাড়িটিতে গেছে র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে তাদের ওই আস্তানার দিকে যেতে দেখা যায়। র্যাব সদস্যরা এ সময় আস্তানা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।
এর আগে র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে আস্তানা ঘিরে রাখে। ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোন ব্যবহারে জঙ্গি আস্তানার ভেতরের ও বাইরের অবস্থা জানার চেষ্টা করছে র্যাব ইনটেলিজেন্স শাখা। আনা হয়েছে অত্যাধুনিক মেশিন। যা দিয়ে দূর থেকে আস্তানার ভেতরের শব্দ ও কথাবার্তা শোনা যাবে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন র্যাবের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল মাহবুবুল আলম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই আস্তানায় অভিযান চলছিল।
এর আগে সকালে র্যাব জানায়, রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোহাম্মদপুর বছিলার মেট্রো হাউজিং এ অভিযান শুরু করে র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়েই বিস্ফোরণ ঘটে আস্তানায়। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে বড় বিস্ফোরণ ঘটে।
বাড়িটি ঘেরাও করার পরই কেয়ারটেকারসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। তারা হলেন- কেয়ারটেকার সোহাগ, সোহাগের বউ মৌসুমী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ।
র্যাব-২ এর এসপি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টিনশেড বাড়িটির কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ওই টিনশেড ভবনে কারা কারা থাকেন। কীভাবে ভাড়া দিয়েছেন। সোহাগ ওই এলাকায় ডিশের ব্যবসা করেন।
তিনি বলেন, টিনশেড বাড়িটির পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। সম্প্রতি মসজিদটি সম্প্রসারণ করে মাদরাসা করার কথাও চলছিল। মসজিদের ইমাম ইউসুফকেও তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই টিনশেড বাড়ির বাসিন্দা জোনায়েদ জানান, ওই টিনশেড বাড়িতে চারটি রুম। তিনি এক রুমে থাকেন। পেশায় রড-সিমেন্টের মিস্ত্রি, বাড়ি-ঘরের কাজ করেন।
তিনি বলেন, দু'জন যুবক এক দেড় মাস হলো ভাড়ায় উঠেছেন। তিনি আরও বলেন, ভোরে বিস্ফোরণের আগে আমাদের বের করে আনে র্যাব। ভোর পাঁচটায় যে বিস্ফোরণটি হয় তা ছিল খুব বড়।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে সম্প্রতি যে দুই যুবক ভাড়ায় ওই বাসায় উঠেছেন তারাই জঙ্গি আস্তানা গেড়েছে। তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন