শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

২০৫০ সালের মধ্যে ধান উৎপাদন কমবে ১৪-১৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

২০৫০ সাল নাগাদ দেশে ধানের উৎপাদন হেক্টর প্রতি ১৪-১৭ শতাংশ কমার আশংকা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধানের উৎপাদন এতো ব্যাপক হারে কমবে বলে ধারণা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস।
বিআইডিএসের দাবি, কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ২০৩০ সালের পর থেকেই কমতে থাকবে ধানের উৎপাদন। এ অবস্থায় ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম জাত উদ্ভাবন এবং তা দ্রæত কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়ার ওপর জোর দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছর বোরো মৌসুমের শুরুতে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় হাওর অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর ধানি জমি। কয়েক দফা বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে আরও ৩১ জেলা। এতে বোরো-আউশ মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ লাখ টন কম হয়েছে ধানের উৎপাদন। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে দেখা দিচ্ছে বøাস্ট রোগের আক্রমণ।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, শুধু কার্বন নিঃসরণের কারণেই ২০৫০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা বাড়বে প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর প্রভাবে বাড়বে ঝড়, বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এডিবির তথ্যমতে, বর্তমানে বন্যার দিক থেকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র বন্যার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বছরে ধানের গড় উৎপাদন কমবে তিন দশমিক ৯ শতাংশ। বিআইডিএসের দাবি, শুধু বন্যা নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি সরাসরি প্রভাব ফেলবে ধানের উৎপাদনে। তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লে আমন ও আউশের উৎপাদন হেক্টর প্রতি কমবে প্রায় এক থেকে দেড় টন। আর বুয়েট বলছে, দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে বছরে আমন ও বোরো মিলিয়ে দেশে ধানের উৎপাদন কমবে প্রায় ১৫ শতাংশ বা ৫০ লাখ টন। তাপমাত্রা বাড়লে খরাপ্রবণ হয়ে পড়বে দেশের উত্তরাঞ্চল। অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাড়বে লবণাক্ততা। এডিবির হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৬৫ সেন্টিমিটার বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওই অঞ্চলের চাষযোগ্য জমির ৪০ ভাগ। বাংলাদেশ পরমাণু ধান গবেষণা কেন্দ্র ও ব্রি মিলে এ পর্যন্ত ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম ২২টি জাত উদ্ভাবন করেছে। কৃষিবিদরা বলছেন, বীজ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাই বীজ ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ তাদের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন