রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মঠবাড়িয়ায় সরিষা ফুলে ভরে গেছে মাঠ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে আবদুল হালিম দুলাল: | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ক্ষুদ্র শষ্য সরিষা চাষ করে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে মঠবাড়িয়ার কৃষকরা। কম খরচে বেশী উৎপাদন এবং লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষার বীজ বপনের পর তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন না হওয়ায় ফলন আসা পর্যন্ত কৃষকরা নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে গত বছর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে সাড়ে ৭ হাজার একর জমিতে বারি সরিষা-১৪ চাষ করে ২০টনের বেশী উৎপাদন হয়। এবছর প্রায় ৮ হাজার একর জমিতে বারি সরিষা-১৪ চাষ করা হয়েছে। প্রতি একরে সরিষা উৎপন্ন হয় ৬ শত কেজি। বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০/৬০ টাকা। সরিষা ভাঙ্গলে প্রতি একরে তৈল আসে (৬০০ কেজি সরিষা) ৪০/৪৫ কেজি। প্রতি কেজি সরিষার তৈল বাজারে ১৮০/২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
ইরি-বোরো ধান হয়না এমন জমিতে আমন ও আউশের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা চাষ করে কৃষকরা বাড়তি আয় করতে পারে। বীজ বপনের ৭৫/৮৫ দিনে সরিষায় ফলন আসে। ক্ষুদ্র তৈল জাতীয় শষ্য সরিষা চাষ সহজ এবং বাজার মূল্য থাকায় মঠবাড়িয়ার কৃষকদের মধ্যে সরিষা আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
দক্ষিণ মিরুখালী গ্রামের চাষী মোঃ জাকির হোসেন জানান, গত বছর সাড়ে ৭ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করে উৎপাদিত প্রায় ১০০ কেজি সরিষা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। এবছর ৩৩ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছে জাকির।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, বারি সরিষা-১৪ চাষ করতে প্রতি একরে চাষ, বীজ, সার-ওষুধ ও সেচে কৃষকের সর্বোচ্চ ব্যায় হয় ১০ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হয় ৬০০ কেজি, যার বাজার মূল্য ৪৮/৫০ হাজার টাকা। আমন ও আউশের মধ্যবর্তী সময়ে কম খরচে বাড়তি আয়ের জন্য কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য রারি সরিষা-১৪ এর উপজেলায় ১০টি প্রদর্শণী করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা কৃষি স¤প্রসারন অফিসের উপ-পরিচালক আবু হেনা মোঃ জাফর জানান, সরিষা জনপ্রিয় করতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা দেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন