রবিবার বিকাল ৪ টা পর্যন্ত আমি মোটেই ভাবিনি যে, অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার বিষয়ে আজ ইনকিলাবে লিখবো। কারণ, আগের দিন অর্থাৎ শনিবার বিকাল বেলা দুয়েক জন মেহমান বাসায় বেড়াতে এসে গল্পচ্ছলে বলেন যে, জাফর ইকবাল সাহেব নাকি ছুরিকাহত হয়েছেন। তার আগে আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। সাথে সাথেই আমি কম্পিউটার তথা ইন্টারনেটে গেলাম। দেখলাম, ঘটনা সত্যি। আমি অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর এই নৃশংস হামলার তীব্র প্রতিবাদ করছি। সুখের বিষয়, তিনি ইতোমধ্যেই শঙ্কামুক্ত হয়েছেন এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ করছেন। যাই হোক, খবরে দেখা গেলো যে হামলাকারী হাতে নাতে ধরা পড়েছে এবং গণপিটুনি দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক স্থানে তাকে রাখা হয়েছে। আমরা গল্পচ্ছলে বলি যে, হামলাকারীর পরিচয়, নামধাম, উদ্দেশ্য এগুলি কিছুই ক্লিয়ার হচ্ছে না। রাত পৌনে ১২ টার সময় একাত্তর টিভির টকশোতে দেখা গেল, সঞ্চালক মিথিলা ফারজানা বললেন যে, হামলাকারীর নাম ফয়জুর। তার পিতার নাম এবং যেখানে তাদের বাস সেখানকার ঠিকানাও বললেন। আরো কয়েকটি চ্যানেল ধরলাম। কিন্তু এর বেশি কিছু আর পাওয়া গেল না। সকাল থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ইন্টারনেটে ছিলাম। কিন্তু উল্লেখ করার মতো তেমন কিছু পাওয়া গেল না। কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে বিকাল ৫ টার সময় কম্পিউটারে বসার পর দৈনিক প্রথম আলোর একটি খবরে চোখ আটকে গেলো। ৪ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করনে প্রকাশিত খবরটির শিরোনাম, ‘জাফর ইকবালের ওপর হামলার চক্রান্তকারীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: কাদের’। শিরোনামটি দেখে স্বাভাবিকভাবেই নড়ে চড়ে বসলাম। কারণ বিগত ৩/৪ বছর ধরে জঙ্গিবাদী হামলা সম্পর্কে যত খবর বেরিয়েছে তার কোনটাতেই বিএনপির ইনভলভমেন্ট বলা হয়নি। আজ আওয়ামী লীগের মত একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, যিনি সেতুমন্ত্রীও বটে, যখন বিএনপিকে জড়িয়ে মন্তব্য করেছেন তখন আর সেটিকে হালকা ভাবে নেওয়া সম্ভব হলো না। সেটিকে পলিটিক্যাল রেটোরিক বলে উড়িয়ে দেওয়াও সম্ভব হলো না। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা একটি ‘চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই চক্রান্তকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে বিএনপি। কে ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা কারা হামলাকারীকে দিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে - বিষয়টি ইতিমধ্যে পরিষ্কার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই হামলা চক্রান্ত, এটা সত্য। চক্রান্ত তাদের, যাদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। কে ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা কারা তাঁকে দিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে, এই বিষয়টি ইতিমধ্যে পরিষ্কার। এই বিষয় নিয়ে একথা-সেকথা বলে বিভ্রান্তি যারা সৃষ্টি করে, তারা আজকে দেশের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর নেপথ্যে যারা আছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হচ্ছে। আক্রমণকারী যা স্বীকার করেছে, সেই আলোকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে নেপথ্যের কালপ্রিটরাও বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।’
এ ব্যাপারে ইংরেজী ডেইলি স্টারের রিপোর্টটি আরো ডাইরেক্ট। একই দিন ডেইলি স্টারের অন লাইন সংস্করনে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম, “BNP behind attack on Prof Zafar Iqbal: Quader” অর্থাৎ “অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার পেছনে বিএনপি: কাদের”। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, অধিসর League General Secretary Obaidul Quader today termed the attack on Prof Muhammed Zafar Iqbal a “conspiracy” and alleged that BNP is patronising the conspirators. “It is already clear who are behind the attack,” Quader, also the road transport and bridges minister, came up with the remarks while distributing leaflets in Gulistan area of Dhaka ahead of the March 7 rally at Suhrawardy Udyan.
“It is true that the attack is a conspiracy and BNP is patronising those who are conspiring. BNP is trying to create confusion in people’s minds, they are not working for the interest of the country,” Quader said.
অনুবাদ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ প্রফেসর জাফর ইকবালের ওপর হামলাকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন এবং অভিযোগ করেন যে বিএনপি ষড়যন্ত্রকারীদেরকে মদদ যোগাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এটি পরিষ্কার হয়ে গেছে যে কারা এই হামলার পেছনে আছে। বিএনপি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা দেশের স্বার্থে কোনো কাজ করছে না। একই দিন অর্থাৎ ৪ মার্চ ইংরেজী দৈনিক নিউ এজের অনলাইন সংস্করনে বলা হয়, Quader said that the attack on Zafar is a conspiracy against the progressive and pro-liberation forces and BNP patronised the attackers. অনুবাদ: ওবায়দুল কাদের বলেন যে জাফরের ওপর আক্রমণ দেশের প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এখানে হামলাকারীদেরকে মদদ দিচ্ছে বিএনপি।
\দুই\
ওবায়দুল কাদের সত্যিই যে এই অভিযোগ করেছেন সেটি সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা তিনটি পত্রিকার রিপোর্টের অংশবিশেষ ওপরে হুবহু তুলে দিলাম। এমন একটি ঘটনা ঘটলো, যে ঘটনা ঘটার পর ২৪ ঘন্টাও পার হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মত একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এমন মারাত্মক অভিযোগ করলেন। কোথা থেকে তিনি এসব তথ্য পেলেন? কোনো অনুসন্ধান নয়, কোনো তদন্ত নয়, কোনো তথ্য প্রমাণ বা দলিল নয়, একেবারে বিএনপির মতো এত বড় এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী দলের বিরুদ্ধে এই ধরণের মারাত্মক অভিযোগ। তিনি কি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন? এত বড় একটি অভিযোগ তাকে প্রমাণ করতেই হবে।
অথচ দেখা যাচ্ছে যে একই দিন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং র্যাবও এই ঘটনার ওপর বক্তব্য দিয়েছেন। তারা কিন্তু কেউ বিএনপি তো দূরের কথা, কোনো রাজনৈতিক দলকেও দায়ী করেননি। এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি বলেছেন সেটি দেখুন। বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গতকাল একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী কারা, এটা হামলার ধরন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ (এনএসটি) ও গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ৪ মার্চের ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করনেও প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, Prime Minister Sheikh Hasina today termed the attackers of Prof Muhammed Zafar Iqbal as “fanatics” and urged all to keep their children away from militancy, terrorism and drug abuse. অনুবাদ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারীদেরকে ধর্মান্ধ বলে আখ্যায়িত করেন এবং সকলকে অনুরোধ করেন তাদের সন্তানকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকাসক্তি থেকে দূরে রাখতে। প্রিয় পাঠক, এবং সেই সাথে দেশবাসীও লক্ষ্য করুন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই হামলার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বিএনপিকে দায়ী করেননি। এমনকি তিনি কোনো রাজনৈতিক দলকেও দায়ী করেননি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যা বলেছেন তার সাথেও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কোনো মিল নাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় কারা জড়িত তা তদন্তের পর জানা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হওয়া সত্তে¡ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘটনাস্থলে প্রবেশের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
সকলেই জানেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথা পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির প্রধান। তারাই তদন্ত করবেন এবং তারাই প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করবেন। অথচ এখানে দেখা যাচ্ছে যে ঘটনার তদন্তই শুরু হয়নি। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে জাফর ইকবালের ওপর হামলার সাথে কারা জড়িত সেটি তদন্তের পর জানা যাবে। তাহলে তদন্তের আগে ওবায়দুল কাদের বিএনপির কথা জানলেন কিভাবে?
\তিন\
গত ৪ মার্চ ডেইলি স্টারের প্রিন্ট এডিশনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১২ মে বøগার অনন্ত বিজয় দাস সিলেটে নিহত হওয়ার পর থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল পুলিশ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলে যে জাফর ইকবালকে ২৪ ঘন্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। আজও সেটি চলছে। গত ৩ তারিখে যে অনুষ্ঠানে তিনি সোফার ওপর বসে ছিলেন সেখানেও তার পেছনে দাঁড়িয়েছিল তিনজন পোশাক পরা পুলিশ। ছবিতে দেখা যায় যে, ঐ তিন পুলিশের ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিল হামলাকারী ফয়জুর। সে জাফর ইকবালের ঠিক পেছনেই দন্ডায়মান ছিল। পুলিশ প্রটেকশন ভেদ করে সে জাফর ইকবালের পেছনে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলো কিভাবে সেই প্রশ্নের কোনো জবাব নাই। ৩ তারিখ গভীর রাতে ডেইলি স্টার ফয়জুরের বরাত দিয়ে জানায় যে, সে একা একাই এই কাজ করেছে। কিন্তু ডেইলি স্টারের রিপোর্ট মোতাবেক র্যাব তার কথা মানছিল না। তাদের ধারণা, সে কোনো মৌলবাদী গ্রুপের সাথে জড়িত। ফয়জুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে র্যাবের নিকট এবং পরে পুলিশের নিকট নেওয়া হয়। ৪ তারিখ দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর হাসান ওরফে শফিকুর জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে র্যাব। আজ রবিবার র্যাব-৯ এর সদরদপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সিলেট র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ। তিনি বলেন, ‘ফয়জুরের কাছ থেকে র্যাব বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে র্যাব তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ধরনের হামলা কেউ একা করতে পারে না। তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল বলে আমরা ধারণা করছি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুর র্যাবকে জানিয়েছে, সে একাই এ হামলা চালিয়েছে।’ সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অনুসন্ধানকারী র্যাবের বক্তব্যে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসেনি। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের আগেই সেই খবরটি পেয়ে গেছেন।
ফয়জুর জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালিয়েছিল কেন? ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ নামক উপন্যাস লিখে নবী সোলায়মান (আ.) কে ব্যঙ্গ করায় অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হামলাকারী ফয়জুর রহমান। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই স্বীকারোক্তি দেয় ফয়জুর। সে বলেছে, জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রæ, তাই তাকে হত্যা করার জন্য হামলা করেছি। উনি নিজেও নাস্তিক এবং অন্য সবাইকেও নাস্তিক বানানোর জন্য প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তার লেখা পড়ে মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে। রবিবার সকালে ফয়জুরের এই স্বীকারোক্তির কথা জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ। র্যাব কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভূতের বাচ্চা সোলায়মান নামক একটি উপন্যাসের কথা উল্লেখ করে ফয়জুর বলেছে, এই উপন্যাসের মাধ্যমে জাফর ইকবাল নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। তাই আমি হামলা করেছি। (যুগান্তর অনলাইন, ৪ মার্চ ২১৮)।
\চার\
বিএনপিকে জড়িয়ে ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পর একটি শক্ত বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৪ মার্চ ডেইলি স্টার অনলাইনে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir today said that the attack on the renowned writer Muhammed Zafar Iqbal is an outcome of the ongoing misdeeds of the government and it will remain as its worst chapter. “The people, who knifed Zafar Iqbal, are the enemy of the society. The attack will remain as the worst chapter of the government,” Fakhrul came up with the remarks as his party’s reaction over the attack. Fakhrul also expressed his party’s strong condemnation and protested the attack launched on the widely respected teacher. The people of different professions in the country like artist, novelist, scientist, doctor, teacher, student, journalist and engineer are passing through a tough time amid the misdeeds of the government, he said. “It is tough to maintain people’s peace and stability amid the prevailing misdeeds,” the BNP leader said adding that the terrorists have become desperate due to the culture of impunity. Fakhrul termed the attack as a part of a deep-rooted conspiracy and said it will remain as the worst chapter of the government.
অনুবাদ: বিএনপি মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বলেন যে সরকার যেসব অপকীর্তি করেছে তারই পরিণতি হলো জাফর ইকবালের ওপর এই হামলা। এই ঘটনা বর্তমান সরকারের জামানায় সবচেয়ে কালো অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত থাকবে। যারা জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করেছে তারা সমাজের শত্রু। ফখরুল এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এই দেশের শিল্পী ঔপন্যাসিক, বিজ্ঞানী, ডাক্তার, শিক্ষক, ছাত্র, সাংবাদিক এবং প্রকৌশলী সহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ এই সরকারের অপ কীর্তির জন্য দুঃসহ জীবন যাপন করছে। এসব অপকীর্তির কারণে জনগণের শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সন্ত্রাসীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই হামলাকে মির্জা ফখরুল একটি গভীর ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আগামী মঙ্গলবার যখন আবার কলাম লিখবো তখন, মনে হচ্ছে, এ ব্যাপারে আরো অনেক ডেভেলপমেন্ট ঘটবে।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন