সৈয়দপুর বিমানবন্দর স¤প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের সমীক্ষার কাজ শুরু
সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে উপ-আঞ্চলিক বিমানবন্দর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর এ জন্য বিমানবন্দরের রানওয়ে স¤প্রসারণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এ সমীক্ষার খবরে বিমানবন্দরের দক্ষিণ অংশে আবাদি জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণের হিড়িক পড়েছে। জমির মালিকরা বেশি পরিমাণে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে আবাদি জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং জমিতে বৃক্ষ রোপণ করছেন। গতকাল সরেজমিন বিমানবন্দর এলাকায় গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে সার্কভূক্ত দেশের উপ-আঞ্চলিক বিমানবন্দর করার সরকারি পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে রানওয়ের দক্ষিণ অংশে রাতারাতি ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই এলাকার জমির মালিকরা ঘরবাড়ি ও বৃক্ষ রোপণ করছেন। অথচ ওই এলাকায় কোনো বাড়িঘর ছিল না। পুরোটাই ছিল আবাদি জমি। বর্তমানে নির্মিত এসব ঘরবাড়িতে কেউ বসবাস করেন না এবং বাস করার মতো করে বানানো হয়নি। কেবল অবকাঠামো বানিয়ে রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, অনেক জমিতে বৃক্ষ রোপণের হিড়িক লেগেছে। সুযোগ সন্ধানীরা ক্ষতিপূরণ বাবদ বেশি টাকার পাওয়ার লোভে এ কাজ করছেন। ওই এলাকার কয়েকজন দাদন ব্যবসায়ী জমির মালিকদের কাছ থেকে কয়েক বছরের চুক্তিতে জমি নিয়ে ওই ঘর নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণ করছে। তারা মূলত জমির মালিকদের জমি লিজ নিয়ে মুনাফা লুটতে আশায় এ কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণ কাজে দর কষাকষি করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
ঘটনাস্থলে গেলে কয়েকজন দাদন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোনো কথা না বলেই সটকে পড়ে। তবে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আঞ্চলিক বিমানবন্দর ঘোষণার পর বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকার ভিডিও দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে ইতোমধ্যে। ওই ফুটেজ দেখে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার শাহীন আহমেদ জানান, উপ-আঞ্চলিক বিমানবন্দর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করায় জমি অধিগ্রহণের জন্য বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে দু’টি টিম এলাকাগুলো সার্ভে করে। ওই সার্ভের নকশা দেখে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বর্তমানে অবৈধভাবে যেসব ঘর নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণ করেছে, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। তবে বিমানবন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন