পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাত
মধ্যপাড়া পাথর খনিতে গত ২৬ ফেব্রæয়ারিী ভু-অভ্যন্তরে প্রায় ৩০০ মিটার গভীরে পাথর উত্তোলনের জন্য যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় তাহার ফলশ্রæতিতে সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাস ভুগর্ভ হতে নির্গমনের সময় বিকাল ৪.১১ মিঃ হতে ৫.১১ মিনিট পর্যন্ত পরপর তিনবার হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে খনির ভূু-গর্ভে অবস্থানরত শতাধিক খনি শ্রমিক ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের জীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে। খনির অভ্যন্তর বিষাক্ত গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে ভু-গর্ভে কর্মরত খনি শ্রমিক ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়ে প্রাণহানীর আশংকা দেখা দেয়। কিন্তু খনি পরিচালনাকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি এর বিদেশী বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক তড়িৎ গতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার ফলে মধ্যপাড়া পাথর খনি মর্মান্তিক বিয়োগান্তকর দুর্ঘটনা হতে রক্ষা পায়। এখানে উল্লেখ্য যে, খনি শিল্পে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যাবশ্যকীয় হওয়া সর্ত্বেও খনি কর্তৃপক্ষ মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের এই ব্যাপারে উদাসীনতার কারনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট মধ্যপাড়া পাথর খনিতে এখন নিত্য নৈমাত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ফলশ্রতিতে খনিতে কর্মরত শ্রমিক ও বিদেশী বিশেষজ্ঞগণ জীবনের চরম ঝুঁিক নিয়ে খনি অভ্যন্তরে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে খনিতে অবস্থিত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ও মূল্যবান যন্ত্রপাতি প্রায়ই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার কারনে খনিতে পাথর উৎপাদনের খরচও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে অরো উল্লেখ্য , যে কোন আন্তর্জাতিক খনি আইন অনুযায়ী যে কোন খনিতে দুটি পৃথক উৎস হইতে দুইটি স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন প্রদান করার বাধ্যবাধকতা থাকিলেও মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের বছরে পর বছর ধরে এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করা বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এব্যাপারে খনিতে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করনের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রæততার সহিত ব্যবস্থা গ্রহন অতীব জরুরী বলে খনি সংশ্লিষ্ট দেশী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও খনি শ্রমিকরা মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন