শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

যশোর অঞ্চলে বন্ধ হয়নি যন্ত্রদানব ভটভটি চলাচল

যশোর থেকে রেবা রহমান | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ব্রেকবিহীন নছিমন, করিমন, আলম সাধু ও ভটভটি গ্রামের রাস্তা থেকে এখনো হাইওয়ে সড়কে চলাচল করছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অবাধে চলাচল করছে যশোর অঞ্চলে যন্ত্রদানব ভটভটি ও নছিমন। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক লেখালেখি হয়েছে নছিমন ও ভটভটি নিয়ে। তারপরেও বন্ধ হয়নি স্থানীয়ভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি যন্ত্রদানব। যশোর ঝিনাইদহ মাগুরা নড়াইলের বিভিন্ন সড়কে শত শত যন্ত্রদানব চলাচল করছে নিয়মিত। ইতিপুর্বে বিভিন্ন মহল থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল ব্রেকসহ মেশিনটির আধুনিকায়ন করে বিআরটিএর আওতায় এনে যান লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শুধু উপজেলা সদরের সাথে গ্রাম ও ইউনিয়নে যোগাযোগরক্ষাকারী রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা করার। কেউ উদ্যোগ নেয়নি।
জানা যায়, গোটা অঞ্চলে ৮০ দশকে শুরু হওয়া নছিমন, করিমন, আলমসাধু ও ভটভটির সংখ্যা হবে কয়েক হাজার। প্রথমে বগুড়ায় শ্যালো মেশিনের ইঞ্জিন দিয়ে ভ্যান তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ছড়িয়ে পড়ে। কুষ্টিয়ার ভাদিয়ালীতে আব্দুর রশীদ নামে একজন সাইকেল মিস্ত্রি প্রথম তৈরি করেন নছিমন ও ভটভটি। প্রথমদিকে পণ্যবহনের জন্য ব্যবহৃত হলেও এখন যাত্রীবহন হচ্ছে। ডিজেলচালিত ভটভটিতে ছাউনি দিয়ে যাত্রীবহন হচ্ছে। বিআরটিএ ও আইনপ্রয়েঅগকারী সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, গ্রামে পণ্য পরিবহনে সুবিধা হচ্ছে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু অত্যন্ত যানটি অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ। নছিমন ও ভটভটি ছাড়াও যানটির আরেক নাম যন্ত্রদানব। আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা না করায় সরকার এই যানবাহনের থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না।
শহর ও শহরতলী এবং হাইওয়ে সড়কে অবাধে চলাচলের কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে দারুণ বিঘ্ন ঘটছে। এনিয়ে পরিবহন ধর্মঘটও হয়েছে দফায় দফায়। ব্রেক না থাকায় শুধু নছিমন ও ভটভটি দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে না, এর কারণে হাইওয়ে সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের দুর্ঘটনায় ফেলছে। জেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলার মাসিক বৈঠকে অবৈধভাবে চলাচলকারী নছিমন, করিমন ও ভটভটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যা সবসময় কাগজকলমে সীমাবদ্ধ থাকে। বাস্তবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা কার্যকর হয় না। যানটির আধুনিকায়ন, চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বিআরটিএর আওতায় এনে যান হিসেবে লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনোই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে অবৈধভাবেই চলছেই নছিমন ও ভটভটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত ওই যন্ত্রদানবের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা। সচেতন ও পর্যবেক্ষক মহল থেকে আবারো সরকারকে এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন