রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

শাকিব অপুর দ্বন্দ্বের কারণে কোটি টাকা লোকসানের মুখে প্রযোজকরা

| প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: শাকিব ও অপুর মধ্যে ডিভোর্স হয়েছে গত ১২ মার্চ। এই দুই তারকার স¤পর্ক ভাঙনের ফলে তাদের নিয়ে নির্মিতব্য বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রযোজক নিশ্চিত লোকসানের মুখে পড়েছেন। সিনেমাগুলোর প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষে শাকিব-অপুর মধ্যকার তিক্ত সম্পর্কের কারণে আটকে আছে। বলা যায়, একজন আরেকজনের মুখ দেখতে নারাজ। তাদের এই সাপে-নেউলে সম্পর্কের কারণে বিপাকে পড়েছেন সিনেমাগুলোর নির্মাতা ও প্রযোজক। ইতোমধ্যে সিনেমাগুলোতে বিপুল অংকের অর্থ লগ্নি করা হয়েছে। এগুলো যদি শেষ করা না যায়, তবে প্রযোজক মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। অসমাপ্ত সিনেমাগুলো হচ্ছে, পাংকু জামাই, লাভ ২০১৪, মা ও মাই ডার্লিং। সিনেমাগুলোর নির্মাতারা অনেক চেষ্টা করেও শাকিবকে অপু বিশ্বাসের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারেননি। অপু মাঝে দুটি সিনেমার শূটিংয়ে অংশ নিলেও শাকিব আসেননি। এরপর অপু নিজেও আর সিনেমাগুলো নিয়ে আগ্রহ দেখাননি। তার বক্তব্য, আমি কোনো প্রযোজক ও পরিচালককে আমার ব্যক্তিগত কারণে ক্ষতির মুখে ফেলতে চাই না। তারা যখনই আমার শিডিউল চেয়েছে আমি দিয়েছি। কিন্তু শাকিব তাদের সময় দেয়নি। সেই দায় আমার নয়। শাকিব যদি শূটিং করেত চায় আমার দিক থেকে সমস্যা নেই। নিজের পেশার প্রতি আমি সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল। জানা যায়, অপু বিশ্বাস পাংকু জামাই সিনেমার নিজের অংশের কাজ শেষ করেছেন। তবে বারবার অনুরোধ করেও শাকিবের শিডিউল পাওয়া যায়নি। এতে প্রায় কোটি টাকা লগ্নি করা প্রযোজক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। নিরুপায় হয়ে সিনেমাগুলোর প্রযোজকদের অনেকেই শাকিব-অপুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন। তারা দ্বারস্থ হবেন পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতির। প্রয়োজনে মামলা করারও উদ্যোগ নেবেন। মাই ডার্লিং সিনেমার পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, শাকিব ও অপু যে আচরণ করছেন তাকে পেশাদারীত্ব বলে না। বিরক্ত হয়ে আমার প্রযোজক এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছেন। আমারও মনে হয়, কঠোর না হয়ে আর কোনো উপায় নেই। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, একজন শিল্পীর যতোই ব্যক্তিগত সমস্যা থাকুক পেশার প্রতি তাকে মনযোগী হতে হয়। সিনেমা কোনো খেয়ালের জায়গা নয়। একটি সিনেমার পেছনে একজন প্রযোজক কোটি টাকা লগ্নি করেন। শাকিব-অপুর কারণে বেশ কয়েকটি সিনেমা আটকে আছে। তার মানে, বেশ কয়েক কোটি টাকা লোকসানের আশংকরা। এই প্রযোজকরা যদি কোনো উপযুক্ত প্রমাণসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান তবে সেটি তারা পারবেন। সেই অধিকার তারা রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন