শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

বিদ্যুৎ উৎপাদনে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় সৌর শক্তিসহ অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে জোরালো উদ্যোগ নেয়ার জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক সোলার এলায়েন্স (আইএসএ) এর প্রতিষ্ঠা সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্টের আহ্বান যথার্থ। কারণ, সৌরশক্তি অফুরন্ত। পরম করুণাময়ের অশেষ মেহেরবাণীতে এর কোন শেষ নেই। তাই সৌরশক্তি ইচ্ছামাফিক ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে এবং তা সমগ্র বিশ্বেই। যারা এই সৌরশক্তিকে ব্যবহার করতে পারবে, তারা লাভবান হবে। সেই সাথে উপকৃত হবে ধরিত্রী ও তার সমগ্র প্রাণিকূল। আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ সকল কর্মের প্রাণভোমরা। আর সে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে প্রধানত: কয়লা ও তেল দিয়ে। যাকে বলে জীবাশ্ম জ্বালানি। কিন্তু এর ক্ষতি ভয়াবহ। জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বায়ু মন্ডলের উঞ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে জানমালের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি রোধ করার জন্য প্যারিস জলবায়ু চুক্তি-২০১৫ সম্পাদিত হয়। যাতে ১৯৭টি দেশে স্বাক্ষর করেছে, যার মর্ম হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি করা। উক্ত চুক্তি মোতাবেক বিশ্বের সর্বত্রই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি এবং জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হ্রাস করা হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে বাংলাদেশও অগ্রগামী রয়েছে। ইডকল ও স্রোডো’র তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট ৪৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ইডকল কর্মসূচির আওতায় ১৯৫.২২ মেগাওয়াটের ৪৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে। ১০.৮৩ মেগাওয়াটের সোলার ইরিগেশন সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে এখন ৩৬ লাখ উন্নত চুলার ব্যবহার হচ্ছে। আর ৭২,১০৪টি বায়োগ্যাস প্লান্ট বসানো হয়েছে। সাড়ে ৩৪ হাজার সৌরবিদ্যুৎ চালিত সড়কবাতির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ২০২০ সালে মোট চাহিদার অন্তত ১০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে পাওয়া যাবে। জাতীয় গ্রিডের জন্য সোলারভিত্তিক বিদ্যুতের ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য সরকার একটি কর্মসূচি নিয়েছে, যার আওতায় প্রতিটি গ্রামে সোলার মিনি গ্রিড পাওয়ার সিস্টেম, সৌরবিদ্যুৎ চালিত ডিজেল সেচপাম্প প্রতিস্থাপন, সোলার পার্ক স্থাপন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ে স্টেশনে বিদ্যুতায়নের মতো কর্মসূচি আছে। আর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মোট ৩২টি সোলার পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি উদ্যোগে স্থাপন করা হবে ১০টি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ২২টি। আর এই সোলার পার্কগুলোর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২,৩১৮ মেগাওয়াট। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নবায়নকৃত জ্বালানির ক্ষেত্রে বিশ্বে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম ও অন্যক্ষেত্রে ৫ম স্থানে রয়েছে। দেশে যে সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার এফিশিয়েন্সি ০.৬%। অথচ বিভিন্ন দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের সৌর কোষের এফিশিয়েন্সি ২৩.৩% পৌঁছেছে। এই প্যানেল যদি আমাদের বর্তমান ব্যবহারকৃত ৪১ লাখ স্থাপনায় ব্যবহার করা যেত, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে ৪৬ গুণ বেশি। দ্বিতীয়তঃ এই প্যানেল আমদানিকৃত। এ কারণে এবং এফিশিয়েন্সি অতি স্বল্পতার কারণে উৎপাদন ব্যয় অত্যধিক- ইউনিট প্রতি গড়ে ৩০ টাকা বলে জানা গেছে। অবশ্য স¤প্রতি দেশে দ্বিতীয় প্রজন্মের সৌর প্যানেল আবিষ্কার করেছেন বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীরা, যার উৎপাদন ক্ষমতা ৪.৩২%, আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এর এফিশিয়েন্সি ১০% এর ওপরে যাবে, যা বর্তমানের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। তাই বর্তমান ও ভবিষ্যতে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের সোলার প্যানেল ব্যবহার করা দরকার। এছাড়া ২৩.৩% এফিশিয়েন্সির সোলার ব্যবহার করা বেশি মঙ্গলজনক। এসব হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে উৎপাদন ব্যয়ও অনেক হ্রাস পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।
বিশ্বব্যাপী ক্রমশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হচ্ছে প্রতিনিয়তই। যেমন: অস্ট্রেলিয়া তার দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করার লক্ষ্যে ‘লিথিয়াম ব্যাটারি’ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে গতবছর, যার ক্যাপাসিটি ১০০ মেগাওয়াট। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এই ব্যাটারিটি একটি উইন্ডফার্মের সাথে সংযুক্ত। সেটি দিয়েই এটা চলছে। উপরন্তু দেশটি একই এলাকায় ১৫০ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির আর একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এই বিদ্যুতের মাধ্যমে রেল, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, চীনের ৬০ লক্ষ অধিবাসীর নিংজিয়া অঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌর প্যানেলের সারি গড়ে উঠছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে বিশ লক্ষ পরিবারকে সবুজ জ্বালানি দেয়া সম্ভব হবে। এটি চীনের এরকম বেশ কয়েকটি প্রকল্পের একটি। সর্বপরি এ ক্ষেত্রে চীনের আর একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার হচ্ছে, সোলার রোড নির্মাণ। এতে পেট্রল বা ডিজেলের প্রয়োজন নেই! রাস্তায় চলতে চলতেই গাড়িতে চার্জ হবে। রাস্তা চার্জারের কাজ করবে। এমন সৌর বিদ্যুৎচালিত হাইওয়ে তৈরি করছে চীন। রাস্তায় চলতে চলতে গাড়ি সংক্রিয়ভাবে চার্জ গ্রহণ করবে। এমনকি ড্রোনের সেন্সরও চার্জ দেয়া যাবে এ সোলার রাস্তায়। চীনের জিজান শহরে ১.২ মাইলের এ রাস্তাটি দেশটির দ্বিতীয় সোলার রোড প্রকল্প। এর আগে ২০১৬ সালে শানদং এলাকায় এমন সৌর রাস্তা নির্মাণ করেছে চীন। অপরদিকে, সম্পূর্ণ কঠিন পদার্থে তৈরি ব্যাটারি ২০২০ সালের প্রথমার্ধ নাগাদ ব্যবহারের জন্য টয়োটা প্যানাসনিকের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। হোন্ডাও এই ধরনের ব্যাটারির উন্নয়নে কাজ করছে। এই ব্যাটারি বৈদ্যুতিক মটরগাড়ি প্রচলিত ব্যাটারির চেয়ে অধিক দূরত্ব অতিক্রম করবে। নবায়যোগ্য জ্বালানির আরো অগ্রগতি হচ্ছে। ছোট্ট জৈব অণুগ্লাইসিন থেকে কম খরচে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন একদল বিজ্ঞানী। গ্লাইসিন হলো সবচেয়ে সরল অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা মানবদেহের সংযোজক কোষগুচ্ছে ও স্নায়ুকোষে এবং মাছ-মাংস, দুধ ও শাকসবজিতে থাকে। এমনকি সৌরজগতের বাইরেও। গবেষক দলের নেতা সৈয়দ তোফায়েল বলেন, ১০০ গ্রাম সয়াবিন থেকে চর্বিটুকু আলাদা করলে দুই গ্রাম গ্লাইসিন পাওয়া যায়, যা থেকে অনেক পিজো বিদ্যুৎ মেলে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেকের বিজ্ঞানীরা শস্যের পরিত্যক্ত অংশ থেকে হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপাদন করেছেন। তাদের দাবি- হাইড্রোজেনই হবে ভবিষ্যতের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জৈব জ্বালানি। এছাড়া, জাপান সরকার সংসদে নতুন একটি বিল পেশ করেছে। বিলটির লক্ষ্য হলো- সমুদ্রের অদূরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন জোরদার করে নেয়া। বিলটি পাশ হলে তা বায়ু শক্তি উৎপাদনের জন্য সামুদ্রিক এলাকাগুলোকে উন্মুক্ত করে দেবে এবং আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত সেখানে ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করতে পারবে। হিমালয়ের গ্রামগুলোতেও সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে জানা গেছে। আমাদের দেশেও এসব ব্যবস্থা চালু করার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে, যা যথাশিগগির কাজে লাগানো আবশ্যক। কারণ, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ান প্লানেট সামিট’-এ বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান দুই বছরের মধ্যে তেল ও গ্যাস প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করবে। উপরন্তু উক্ত সামিটে বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর জন্য তেল ও কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসা সহজ করতে এক বিলিয়ন ডলারের বেশিবিনিয়োগের অঙ্গীকার পাওয়া গেছে। কয়েক বিলিয়ন ডলারের ডাইভেস্টমেন্টের ঘোষণাও এসেছে। ফ্রান্সের বিমা কোম্পানি আক্সা বলেছে, তারা কার্বন সেক্টর থেকে সরে আসার প্রক্রিয়া আরও দ্রæত করবে। কয়লা থেকে যেসব কোম্পানির রাজস্ব আয় ৩০ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে, সেসব কোম্পানি থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেবে আক্সা। বিল গেটস ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মিলে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন আগামী তিন বছরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে। কৃষি খাতে অভিযোজন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী কোম্পানিগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করতে ২০০-র বেশি বিনিয়োগকারী একটি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানিতে দাতাদের অর্থ প্রদান বন্ধ হয়ে গেলে চরম বিপদে পড়তে হবে। কারণ, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের টার্গেট করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই জীবাশ্ম জ্বালানি এবং তা বিদেশি অর্থে ও সহায়তায়। কিন্তু সেসব হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে কি এতো বিপুল অর্থ ব্যয় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব? মোটেও না। সর্বপরি আমরা বিশ্ব ব্যবস্থার বাইরে নই। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। স্মরণীয় যে, চীন, ভারত, শ্রীলংকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ২০৩০ সাল থেকে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ এবং ২০৪০ সাল থেকে জ্বালানি তেল দিয়ে যানবাহন চালানো বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বিশটি দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি প্রদেশ। এরা হলো: অ্যাঙ্গোলা, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, কানাডা, কোস্টারিকা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন এবং ওরেগন রাজ্য। এরপর হয়তো আরো অনেক দেশ এরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সে অবস্থায় আমাদের জীবাস্ম জ্বালানি ব্যবহার নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ হয়ে দাঁড়াবে।
প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য, বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে উষ্ণায়ন রোধ করতে দীর্ঘদিন কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে স্বল্প ব্যয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিশোধনে যুগান্তকারী এক কৌশল আবিষ্কার করেছেন তরুণ বিজ্ঞানী ইথান নোভেক। তিনি জানান, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাসপ্লান্ট থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিশোধনে তার প্রযুক্তি ব্যবহার করলে প্রতি টন কার্বন পরিশোধনের খরচ হবে মাত্র ৫ থেকে ৮ ডলার। তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে পানি এবং জলীয় অ্যামোনিয়ার মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে প্রবেশ করানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড অ্যামোনিয়া লবণে পরিণত হয়, একই সঙ্গে নিষ্ক্রিয়গ্যাস নিঃসরিত হয়। এর মধ্য দিয়ে দ্রাবক হিসেবে অ্যামোনিয়া এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিশোধিত হয়। এতে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ৯০% কার্বন পরিশোধন করা সম্ভব। জীবাশ্ম জ্বালানির বিশেষজ্ঞ ম্যাক ডোয়েল বলেন, কার্বন পরিশোধনে ব্যয় কমিয়ে আনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নোভেকের এই অবদান কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিশোধন শিল্পে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। আমাদের বিদ্যুতের বিরাট অংশ যেহেতু জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আসে তাই ক্ষতি হ্রাস করার জন্য নোভেকের আবিষ্কার কাজে লাগানো দরকার।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন