শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গাজীপুর খুলনা সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৫:১৭ পিএম

সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভয়মুক্ত ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। রোববার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে সরকারের দলীয় বাহিনীর মতো কাজ করছে। তাই তাদের পক্ষে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভয়মুক্ত ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

রিজভী বলেন, বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে হলে সেনা মোতায়েন অত্যাবশ্যক। তিনি অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ইভিএম বাতিল, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানান।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না- নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আদৌ দুই সিটির নির্বাচন সুষ্ঠু চায় কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্যে সরকারি ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যায়। নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি না করে, সরকারি ফর্মুলায় নির্বাচন করতেই ইসি আগাম মন্তব্য দিলেন কি না সে প্রশ্নটি এখন ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে।

বর্তমানে দুই সিটিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু নেই দাবি করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দুই সিটিতে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও সন্ত্রাসীদের হাতে হাতে বৈধ অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। বৈধ অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুই সিটিতে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল করছে, মিটিং করছে, সমাবেশ করছে বীরদর্পে। অন্যদিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সভা-সমাবেশ দুরের কথা বাড়িতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারছে না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের জীবন কাটছে হয় জেল খানায় না হয় আদালতের বারান্দায় বারান্দায়।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩০ এর ঊর্ধ্বে শতাধিক রাজনৈতিক মামলা। সারাক্ষণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তাড়া করছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার গতকাল বলেছেন, সব দল না এলে নির্বাচন ভাল হয় না। তাহলে সিইসির প্রধান দায়িত্ব যে কোন নির্বাচনে সব দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা। এটা তারই প্রধান দায়িত্ব।

সেক্ষেত্রে সরকার যদি সিইসির প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার মতো আচরণ করতে চায় তাহলে তিনি নিজ নীতিতে অটল থেকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে সাহসী দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। প্রয়োজনে সরকারের অন্যায়ের চাপের প্রতিবাদে পদত্যাগ করবেন তাতে দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, আতাউর রহমান ঢালী, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন