ছাত্রলীগের সম্মেলনের শুরুতেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সোহরোওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সম্মেলনে অংশ নিতে আসা অন্যান্যরা ও সাধারণ মানুষ। ঠিক একই সময়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থলে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের কর্মীরা কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের ধাওয়া দেয়। পরবর্তীতে বিজয় একাত্তর হলের কর্মীদের সাথে যোগ দেয় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু হলের নেতাকর্মীরাও।
এমন সময় ঢাবির এক কর্মীর মাথায় জাবি ছাত্রলীগের এক কর্মী বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। তারপর আহত ঐ কর্মীর সাথে থাকা ঢাবির অন্যান্য নেতাকর্মীরা পাশে থাকা লাঠি, বাঁশ, ইটপাটকেল দিয়ে জাহাঙ্গীরনগরের নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হয়। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় বিশ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এসময় সম্মেলনে আসা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা চারিদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ঢাবির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাড়িয়ে দেয়।
ওই সংঘর্ষের সময় বিজয় একাত্তর হলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাকিব আল হাসান, শাবাব, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আরাফাত অয়নসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অন্য দিকে জাবির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাবির এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিবে এটা আমরা মানবো না। এটা হতে পারে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন