আবারো পাবলিক বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে রোববার স্ট্রাস্ট পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাস আটকে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে চলাচলকালী ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসের হেলপার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের এক ছাত্রীর সাথে অশোভন ও আপত্তিকর আচরণ করে। এর প্রতিবাদে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাবির চারুকলা অনুষদের সামনের সড়কে ওই পরিবহনের ৫টি বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মোড়ে ঢাবির ফিন্যান্স বিভাগের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর ও অশোভন আচরণ এবং আজেবাজে কথা বলার পাশাপাশি হুমকি-ধমকি দেন ট্রাস্ট পরিবহনের নামক একটি বাসের হেলপার। এর প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ওই পরিবহনের পাঁচটি বাস ক্যাম্পাসে আটকে রেখেছে। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীর সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে গুলিস্তান-আবদুল্লাহপুর রুটের ৩ নং পরিবহনের বিরুদ্ধে। এর আগে গত ১৩ মে ঢাবি ছাত্রকে লাঞ্ছনা ও তার বোনকে অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদে মিরপুর লিংকের ১১টি বাস আটকে প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শাহবাগ থানা পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেয়।
রোবাবারের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটকে রেখেছে। তবে কে যৌন হয়রানি করেছে তা জানা যায়নি। বাস কর্তৃপক্ষ আসছে। ওই মেয়েকেও (ঢাবি ছাত্রী) আসতে বলা হয়েছে। তিনি বিস্তারিত অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছি। এরই মধ্যে শাহবাগ থানাকে জানিয়েছি। তারাও বিষয়টি দেখছে। উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উত্তরা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হন। এ ঘটনায় ছাত্রীর স্বামী বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় শিক্ষার্থীরা তুরাগ পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে ১৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন