শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

স্ত্রী নির্যাতন মামলায় পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি সাখাওয়াতের বিচার শুরু

কোর্ট রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাখাওয়াত হোসেনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৬-নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সহিদুল ইসলাম ফারুক এ আদেশ দেন।
এবিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী আ: খালেক মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ গঠনের আগে জামিনে থাকা আসামি মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে হাজির হয়। পরে মামলার অভিযোগের দায় থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামি পক্ষের অব্যহতি আবেদন নাকচ করে বিচারক অভিযোগ গঠন করে এবং সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করে। ফলে এ মামলার অনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, নির্যাতন ও যৌতুকসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন প্রথম স্ত্রী। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামির সঙ্গে ১৯৯৯ সালে বাদীর মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর দেখতে পায় আসামি প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় গভীর রাতে বাসায় ফেরে। বাদীনি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে তাকে মারধর করিত। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সন্তানদের ভবিষতের কথা চিন্তা করিয়া অত্যাচার সহ্য করিত। পরে এমন আচরনের কারণ খোঁজ নিয়া বাদিনী জানতে পারে জনৈক পুলিশের এস আই সাফায়েতের বিবাহিতা স্ত্রী তাহেরা স্বপ্নার সঙ্গে অসৎ কাজে এবং পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হইয়া পড়িয়াছে। পরে একটি অবৈধ পুত্র সন্তান জন্ম দিয়াছে। এছাড়া ফ্লাট কেনার জন্য বাদীনির কাছে ৬০ লাখ টাক যৌতুক দাবি করে মারধর করে। পরে ঢাক মেডিকেলে চিকিসৎসা নিয়া সুস্থ হয়ে মামলা করে।
জানা গেছে, এ মামলার কারণে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাখাওয়াত হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা অনুযায়ী দায়ের করা পিটিশন মামলায় সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন লাভ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামিনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক মর্মে গণ্য হবেন বিধায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত থাকবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন