বিশেষ সংবাদদাতা : সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে রোববার রাতে ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু নিহত হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি এলাকার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সর্দার (৪২) নিহত হয়েছে। রোববার রাত ২টার দিকে রূপনগরের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দুকযুদ্ধের পর তাদের কাছে থাকা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের ছবি মিলিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত হয়েছেন নিহত ব্যক্তি নজু সর্দার।
ডিবি জানিয়েছে, মিরপুরের রূপনগরের ট বøক’র ওই আস্তানায় নজু অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় নজরুল। রূপনগর থানার এসআই মিজান জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর ধরে মিরপুর এলাকায় মাদক বিক্রি করছিল মাদক ব্যবসায়ী নজু। গাঁজা বিক্রি দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর খাতায় নাম লেখালেও সর্বশেষ সব ধরনের মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল সে। মিরপুরের রূপনগর থানাধীন চলন্তিকা বস্তিতে ভাই-বোন-স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাদক বিক্রি করতো। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বাদশা ওরফে লাল বাদশা (৪৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত দেড়টায় ওই ইউনিয়নের বৈচাতরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাদশা একই উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় ৭টি, চাঁদপুর সদরে ২টি, চট্টগ্রামে ১টিসহ ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা সূত্রে জনায়, রাত ১০টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাল বাদশাকে তার বাড়ীর সামনে থেকে মাদক বিক্রির সময় ১১১পিচ ইয়াবাসহ আটক করেন। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরেক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হেলালের নাম পুলিশকে জানায়। বাদশার তথ্যানুযায়ী তাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল অভিযানে বের হয়। গুপ্টি ইউনিয়নের চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁেধর বৈচাতরী এলাকায় গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপর হামলা ও গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আবু সাঈদ ওরফে লাল বাদশা। আহতাবস্থায় তাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুমিল্লার দেবিদ্বার ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, কুমিল্লার দেবিদ্বারে ভিংলাবাড়ি বেরিবাঁধে মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এনামুল হক দোলন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত এনামুল দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকার মৃত আবদুল্লাহ ভুইয়া ওরফে বাবুল মিয়ার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, একটি পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মাদক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সদর দক্ষিণেরর গলিয়ারায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নুরু মিয়া নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মাদক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪০ কেজি গাঁজা, পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নুরু মিয়া সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর এলাকার মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড়গ্রাম নামক স্থানে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ফরিদ (২৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার দিনগত রাত ১টার দিকে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদ ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই সড়কের উপ-শহর পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে পেশাদার চোর ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসি জানায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১ কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৬ জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগির নিয়ে দ্বন্দের কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ওসি জানান।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মঠবাড়িয়ায় রোববার রাতে পুলিশে সাথে বন্ধুক যুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ি ও দূর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য মিজানুর রহমান সরদার (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। মিজানুর রহমান উপজেলার দাউদখালি ইউনিয়নের খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের লাল মিয়া সর্দারের ছেলে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার জানান, রোববার দিনগত গভীর রাতে বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মিজান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। থানা পুলিশ জানায়, নিহত মিজানের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী থানা, মঠবাড়িয়া থানা ও বামনা থানায় ৬টি ডাকাতি, মাদক ও আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলার মামলা রয়েছে।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের সিংড়া উপজেলার ভাগনগর কান্দি এলাকায় র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে খালেক উদ্দিন নামে এক মাদক ব্যাবসায়ী নিহত হয়েছে। নিহত খালেক উদ্দিন সিংড়ার বড় চৌগ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। র্যাব-০৫ এর সিপিসি -২ কোম্পানী কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, রাত ২টার দিকে সিংড়া আত্রাই আঞ্চলিক সড়কে টহলে থাকা র্যাবের একটি দল ভাগনগর কান্দি এলাকায় একটি মাদকের আস্তানায় অভিযান চালায়। এসময় সেখানে উপস্থিত মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। উভয় পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী খালেক উদ্দিন গুলিবিদ্ধ ও র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে খালেক উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসকরা।
নেছারাবাদ(পিরোজপুর)উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের ডিবি পুলিশের নেছারাবাদের ওহিদুজ্জামান নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার গভীর রাতে কলাখালির টোনা নদীর ষ্টিল ব্রীজের সামনে এঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটা পাইপ গান, ৫০০রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ১৭৫ পিচ ইয়াবা, ৫০ গ্রাম গাঁজা সহ বেশ কিছু মাদকের সরঞ্জাম উদ্বার করেছে। নিহত ওহিদুজ্জামান নেছারাবাদের কৌড়িখারা গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে। ডিবি পুলিশের ওসি মো. মিজানুল হক ইনকিলাবকে বলেন, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ওহিদুজ্জামানকে একটি মাদক মামলায় রোববার দুপুরের দিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিনুযায়ি তার কাছ থেকে আগ্নেয়অস্ত্র ও মাদক উদ্বারের জন্য তাকে নিয়ে রাত পনে একটার দিকে কলাখালির ওই জায়গায় যাওয়া হয়। এসময় পূর্ব থেকে জায়গায় ওত পেতে থাকা তার সঙ্গীরা আমাদের উপর গুলি বর্ষন করে। এক পর্যায়ে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়লে গুলিতে ওহিদুজ্জামান কাত হয়ে পড়ে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। আহত মাদক ব্যবসায়ী ওহিদকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যেরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, পাবনার বেড়ায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইজ্জত আলী প্রামানিক (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নিহত ইজ্জত আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। তিনি উপজেলার হাটুরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আজাহার আলী প্রামানিকের পুত্র। পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী শার্টারগান, ৪ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩ রাউন্ড গুলির খোসা, ৬০০ গ্রাম গাঁজা, ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, বিস্ফোরিত ৪টি ককটেলের খোসা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরার বাঁকালে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের বাঁকালের আগুনপুর গ্রামে রাস্তার পাশে লাশ দুটি পড়ে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল। পুলিশের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী। নিহতারা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গি এলাকার মৃত এরাদ আলী মিস্ত্রীর ছেলে ইমদাদুল হক (৪৮) ও সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের ল²িদাড়ি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খলিলুর রহমান পুটে (৩২)। সদর থানার উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস জানান, সোমবার ভোরে খবর আসে যে বাঁকালের পাশে আগুনপুরে দুটি লাশ পড়ে রয়েছে। তিনি দ্রæততার সাথে সেখানে পুলিশের কয়েক সদস্যকে নিয়ে পৌছে যান। তিনি বলেন, লাশ দুটির প্রত্যেকের দেহে একটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি। মাত্র ১০ গজের ব্যবধানে লাশ দুটি পড়ে ছিল বলে তিনি জানান। লাশের পাশেই পাওয়া গেছে একটি ওয়ান শুটার গান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল। এ ছাড়া মদের খালি বোতলও পাওয়া গেছে। নিহত ইমদাদুল হকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ২৩ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৬ জনের একটি দল ইমদাদুলকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবার আরো জানায়, সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশসহ প্রশাসনের অনেক স্তরে খোঁজ নেয়া হলেও তার কোন সন্ধান মেলেনি। তারা জানান, নিহত ইমদাদুলের বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা ছিলো না। এরপরও তাকে এমনিভাবে মরতে হলো।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভায় মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধে সুমন বিশ্বাস (৩৬) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌরসভার নৈদীঘিরপাথর এলাকার মুড়মা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন ওই এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন জানান, মীরকাদিম পৌরসভার মুড়মা এলাকায় দুই গ্রুপ মাদক ব্যাবসায়ীদের মাঝে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে ২০/২৫ টি মামলার আসামি সুমন বিশ্বাস উরফে (কানা সুমন) নিহত হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি আরো জানান, তার কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র (ছুড়ি) ও বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন