বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সৈয়দপুরে বেচাকেনায় ধুম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঈদের এ উৎসবকে কেন্দ্র করে সৈয়দপুর বাজার এখন রাতজাগা নগরীতে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলা শহরের দোকানপাট ও বাজারে গ্রামাঞ্চলের লোকজনের দখলে থাকলেও রাত্রের বেলায় চলে পুরো শহরবাসীর কেনাকাটা।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেতন-বোনাস দিতে শুরু করায় বাজারে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। তাদের পথচলায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা থেকে শুরু করে শহীদ ডাঃ শামসুল হক রোডের দোকানগুলো। এছাড়া নিউ ক্লথ মার্কেট, পুরাতন কাপড় মার্কেট কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গত দু’দিন থেকে পোশাকের পাশাপাশি গিফট শপ, ঈদ কার্ড, ইমিটেশন-জুয়েলারী ও ক্রোকারিজের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। সৈয়দপুর শহরের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মহিলাদের কাছে শাড়ি ও থ্রিপিসের কদর অটুট রয়েছে। শাড়ির মধ্যে এ বছর সিফন জর্জেট ও হাফসিল্কের চাহিদা বেশি। এছাড়া সাউথ কাতান, কাঞ্চি পুরিয়া, ধলিয়া, বেনারসি, রাজশাহী সিল্ক, ইতালিয়ানসহ বিভিন্ন নামের কাপড় কিনছে মহিলারা।
জানা গেছে, জরি, মেটাল, চুন্দ্রি, হ্যান্ড স্টিচ ও পাথরের জমকালো কাজ করা শাড়িগুলোর চাহিদা অনেক। আর এসব শাড়ির মান ভেদে মূল্য ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবারের ঈদ বাজারে শাড়ি, থ্রিপিস ও রেডিমেড গার্মেন্টসের দোকানগুলোতেই প্রচন্ড ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে পিছিয়ে নেই ছেলেদের পোষাক বিক্রির দোকানগুলো। সার্ট, প্যান্ট ছাড়াও হালফ্যাসনের ফতুয়া, সর্ট পাঞ্জাবীসহ ছেলেদের বিভিন্ন ধরনের পোষাকের সম্ভার ঘটিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শহরের দর্জি দোকানগুলো অনেক আগে থেকেই অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। একেবারেই ঘনিষ্ঠ যারা তাদেরই অর্ডার নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগ মিলেছে কতিপয় দর্জি তথা টেইলার্সগুলো নিজের ইচ্ছেমতো গ্রাহকদের কাছ থেকে সেলাইয়ের মজুরী আদায় করছেন। এদিকে রেলপ্রধান শহর সৈয়দপুরে চাকুরীর কারণে অবস্থানরত ব্যক্তিরা এরই মধ্যে কেনাকাটা সেরে ছুটছেন টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে বাড়ি ফেরার জন্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন