দুই গার্মেন্টস কর্মীকে সাতক্ষীরায় পাচারের চেষ্টার দায়ে গনেশ চন্দ্র মণ্ডল (৪০) নামে এক যুবককে ২০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত গনেশ চন্দ্র মণ্ডল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের বলদঘাটা গ্রামের গোপাল চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরের সাত্তার সাহেবের বস্তিতে বসবাসরত এক গার্মেন্টস কর্মীর (২৫) সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে একই এলাকায় বসবাসরত হাড়ি-পাতিলের ব্যবসায়ী গনেশ চন্দ্র মণ্ডল। এক পর্যায়ে গনেশ চন্দ্র মন্ডল ওই গার্মেন্টস কর্মীর সাথে মর্জিনা নামে এক মহিলার পরিচয় করিয়ে দেয়। মর্জিনা বিয়ের কথা বলে ওই গার্মেন্টস কর্মী ও তার এক সহকর্মী (১৬) কে ২০০৮ সালের ২২ মে বাসযোগে সাতক্ষীরা নিয়ে এসে গনেশ মন্ডলের কাছে দিয়ে যায়। গনেশ মন্ডল মোটরসাইকেলে করে তাদের সদর উপজেলার মাহমুদপুর সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাজারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তারা স্থানীয় মেম্বরকে সাথে নিয়ে ওই দুই গার্মেন্টস কর্মীর কাছে কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলে তারা জানায়- গনেশ বিয়ের কথা বলে তাদের এখানে নিয়ে এসেছে। তখন স্থানীয় মেম্বর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে- গনেশ তাদের ভারতে পাচারে উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। তখন ওই মেম্বর পুলিশে খবর দেন এবং পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে ওই গার্মেন্টস কর্মী গনেশ ও মর্জিনাসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত গনেশ চন্দ্র মন্ডলকে ২০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেন এবং মর্জিনাসহ অপর দুই আসামিকে খালাস দেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, আসামি গনেশ মণ্ডল পলাতক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন