অবিলম্বে মানবপাচার আইনের (২০১২) কালো ধারাসমূহ সংশোধন আনতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর স্বার্থ বিরোধী ধারাগুলো সংশোধন না আনায় জনশক্তি রফতানিকারকরা সামাজিক ও মানুষিকভাবে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত হচ্ছে। এই আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা জেল জুলুল ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এনজিওগুলোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই মানবপাচার আইনে এজেন্সিগুলোর সাংবিধানিক অধিকার বিরোধী কালো ধারা সংযোজন করা হয়েছে। বৈধভাবে কর্মী পাঠিয়ে মানবপাচার আইনে জেল জুলুমের শিকার হওয়া মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উল্লেখিত আইনে কালো ধারা অর্ন্তভুক্ত করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা ক্ষন্ন করা হয়েছে। অবিলম্বে মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে। গ্রেফতারকৃত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক রুবেলকে মুক্তি দিতে হবে। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আজ রোববার মানবপাচার আইনের সংশোধনের দাবিতে মামলায় ভুক্তভোগী ও সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিকবৃন্দ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। একই দাবিতে আগামী ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক কর্মচারীদের মানবপাচার আইনে হয়রানি গ্রেফতার বন্ধে আশ্বাস না পাওয়া গেলে আগামী ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বে জনশক্তি রফতানি বন্ধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাফার সভাপতি, ম্যাব এসোসিয়েট এর স্বত্বাধিকারী ও বায়রার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বারাকাত ভূইয়া, বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব লীমা বেগম, রাফা-সাউথ এর সভাপতি খলিলুর রহমান, রিক্রুটিং এজেন্সি ফ্রেন্ডস এসেকাসিয়েটস রাফা-সাউথ এর মহাসচিব ও আমান এন্টারপ্রাইজ আরএল-৭২৪ এর স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গোলাম রাব্বী ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন, ফাতেমা ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী কবির হোসেন, শেখ ইকবাল হোসেন, কাজী আব্দুর রহীম, আহমেদ উল্লাহ বাচ্চু, শিখা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুবুল হক, আবু সালেহ জাফর,আব্দুল মতিন, মো. হানিফ,আহমেদুর রহমান, ফিরোজ উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, মিয়া মোহাম্মদ উল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, ইনাম আব্দুল্লাহ মহসিন, নাসির উদ্দিন ও মনির হোসেন। পরে এম টিপু সুলতানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের গিয়ে মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধন এবং রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক কর্মচারীদের অহেতুক হয়রানি বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেন। মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এম টিপু সুলতান বলেন, এনজিওদের চক্রান্তের কারণেই মানবপাচারকারী আইনে কালো ধারাসমূহ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মানবপাচারকারীদের পক্ষে নই। অবৈধপথে, সমূদ্র পথে এবং বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দালাল চক্র যুবকদের প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে পাঠায় তারা হচ্ছে মানবপাচারকারী। এদের কঠোর হস্তে দমন করা হোক। টিপু সুলতান বলেন, মানবপাচার আ্ইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধনের দাবিতে আগামীকাল সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শকের সাছে স্মারকলিপি পেশ, আগামী ১২ অক্টোবর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। এ ছাড়া আগামী ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একই দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। তিনি এ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন