মানবপাচার আইনের (২০১২) জামিন অযোগ্য ধারায় রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা জেল জুলুল ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দেশের স্বার্থ বিরোধী এনজিওগুলোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই মানবপাচার আইনে এজেন্সিগুলোর সাংবিধানিক অধিকার বিরোধী কালো ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা বিদেশে কর্মী প্রেরণে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। বৈধভাবে কর্মী পাঠিয়ে মানবপাচার আইনে জেল জুলুমের শিকার হওয়া মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উল্লেখিত আইনে কালো ধারা অর্ন্তভুক্ত করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা ক্ষন্ন করা হয়েছে। রেমিট্যান্স খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সামাজিক মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। অবিলম্বে মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধনে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ একটি হোটেলে মানব পাচার মামলায় ভুক্তভোগী ও সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিকবৃন্দ আয়োজিত মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহকে হয়রানি বন্ধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধনের দাবিতে আগামী রোববার সকাল ১১টায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও বায়রার সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাওব-এর সভাপতি ও বায়রার সাবেক অর্থ সচিব ফখরুল ইসলাম, ফোরাব মহাসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, রাফা সভাপতি আবুল বারাকাত ভূইয়া ও মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার,রাফা ঢাকা দক্ষিণ মহাসচিব ও আমান এন্টারপ্রাইজের (আর এল-৭২৪) স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, সচেতন বায়রার আহবায়ক মোশাররফ হোসেন, বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব লিমা বেগম, রেহানা পারভীন, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান, সম্মিলিত সমন্বয় ফন্ট মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ, নোয়াখালী সমিতির সভাপতি আঃ মতিন ও মহাসচিব আনোয়ার হোসেন, মাকবুল আহম্মদ, মিয়া মোহাম্মদ উল্লাহ, আক্তার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, কবির হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, আহমাদুল্লাহ বাচ্চু, ইকবাল হোসেন, ইনাম আব্দুল্লাহ মহসিন, বজলুর রহমান,শাহিন উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, মনির হোসেন, ফিরোজ উদ্দিন, কাজী আঃ রহিম, জসিম উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে এম টিপু সুলতান বলেন, বৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে কর্মী প্রেরণ করে আমরা মানবপাচারকারী হলে এর সাথে রাষ্ট্রপক্ষ জড়িত। এনজিওদের চক্রান্তের কারণেই মানবপাচারকারী আইনে কালো ধারাসমূহ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মানবপাচারকারীদের পক্ষে নই। অবৈধপথে, সমূদ্র পথে এবং বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দালাল চক্র যুবকদের প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে পাঠায় তারা হচ্ছে মানবপাচারকারী। এদের কঠোর হস্তে দমন করা হোক। টিপু সুলতান বলেন, মানবপাচার আ্ইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধনের দাবিতে জনশক্তি রফতানিকারকদের এক প্ল্টাফর্মে আসতে হবে। তিনি বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা ঘরে ফিরে যাবে না। তিনি আগামী রোববার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করার জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন