ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে এক ভারতীয় নাগরিকসহ ১৯জনকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি। বৃহস্পতিবার বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহেশপুর উপজেলার খোসালপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার থকে ৮০০ গজ বাংলাদেশের মধ্যে থেকে ১৮ জন বাংলাদেশী নারী পুরুষকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় আটক করা হয়। তবে এ সময় কোন দালাল ধরা পড়েনি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাদকের শ্রোত। সীমান্ত দিয়ে বানের পানির মতো আসছে ভারতীয় মাদকসহ নানা পন্য। ফলে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এখন মাদক চোরাচালান ও অবৈধ পারাপারের গেটওয়ে হিসেবে ব্যাবহর হচ্ছে। বড় বড় চোরাচালান সিন্ডিকেট সীমান্তের গ্রামগুলোতে যেমন ঘাঁটি গেড়েছে, তেমনি দালালরাও টাকার বিনিময়ে ওপার ওপার পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিন মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মাদক দ্রব্য ও অবৈধ পারাপারের সময় মানুষ আটক হচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বিজিবির হাতে আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামের হানিফ ফারাজি, আলী হোসেন ফারাজি, একই জেলার লাকুরতলা গ্রামের পরিতোষ কুমার, চরহগালাবনিয়া গ্রামের মোঃ মিজান, রামেদা বাজারের মোঃ ইমরান হোসেন, বরবদুরা গ্রামের ওহিদুল ইসলাম, স্ত্রী রেশমা খাতুন, ছেলে ওসমান আলী, পিরোজপুর জেলার ডেবশাবুনিরা গ্রামের মুন্নি খাতুন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বরণী গ্রামের তরিকুল ইসলাম, বরগুনা জেলার কড়ইতলা গ্রামের নাইম হোসেন, বাগেরহাটের আশিইগলা বনীয়া গ্রামের মোঃ আলামিন হাওলাদার, পিরোজপুরের -ডেকশাবুনীয়া গ্রামের মোঃ আব্দুর আকবর রুবেল, বাগেরহাটের ডুবাবাজারের মোঃ খলিলুর রহমান, একই গ্রামের রুপা খাতুন, পাখি খাতুন, শন্যাশি গ্রামের রাশিদা খাতুন, সাতক্ষীরার গোওনা গ্রামের মন্নি খাতুন ও বাগেরহাটের রানদা গ্রামের আলমের মেয়ে সালমা খাতুন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, একই দিনে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে মহেশপুরের সলেমানপুর গ্রাম থেকে ভারতের কলকাতার নিউটাউন থানার গৌরজনগর গ্রামের পুলিন মন্ডলের স্ত্রী কালীদাসি মন্ডলকে আটক করা হয়। আটককৃত ১৯ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মহেশপুর থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন