রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নতুন জাতের আম ইয়াসমিন

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৮ এএম

মাগুরায় জেলার শালিখা উপজেলার আতিয়ার রহমান নতুন আমের জাত ”ইয়াসমিন ’ উদ্ভাবন করে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার উদ্ভাবিত প্রতিটি আম ২ কেজি থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে । যার গড় ওজন ৩ কেজি। আমে কোন আঁশ নেই বললেই চলে । সরেজমিন মাগুরা শালিখার শতখালি গ্রামে আতিয়ার রহমানের নিজ উদ্যোগে গড়া নার্সারীতে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে দেশি ও বিদেশি জাতের বিভিন্ন ফলের জাত রয়েছে। আবার কিছু অংশে রয়েছে ফুলের চাষ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নিজ গবেষণায় নতুন একটি আমের জাত “ইয়াসমিন” উদ্ভাবন করে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয়েছেন । নতুন এ আমের নাম দিয়েছেন সইয়াসমিন। এ আমের চারা কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বৃক্ষপ্রেমী মানুষ এসেছে তার নার্সারিতে। এই চারাটি একাধিবার শালিখা উপজেলা কৃষি মেলায় প্রর্দশিত হয়ে কুড়িয়েছে প্রশংসা ,পেয়েছে পুরস্কার। কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ঊক্ত চারাটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় কৃষি মেলায় স্থান পেয়েছে । সেখানেও অর্জন করেছে প্রশংসা। আতিয়ার রহমান জানান , তার এক ভাতিজা থাকে ব্রনাই ।সেখানে রাজ পরিবারের বাগানে জন্মে ব্রনাই আম । তিনি শখ করে সেখান থেকে কিছু আম নিয়ে আসে । তারপর সে কয়েকটি আম আমাকে দেন। পরবর্তীতে সেই ব্রনাই কিং আমের আটি থেকে গাছ তৈরি করে নতুন আমের জাত উদ্ভাবন করি। তিনি আরো বলেন, মাগুরা হর্টি কালচারের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় আমি নতুন এ জাত টি নিয়ে আরো গবেষণা করি এবং পরবর্তীতে সফল হই । নতুন এ আমের জাত টি রোপনের ২ বছর পরই আম ধরে। প্রতিটি আম খুব মিষ্টি ও আশঁ মুক্ত। যার প্রতিটির গড় ওজন ৩ কেজি। এটি শ্রাবণের শেষের দিকে পাকে। তিনি আরো জানান , বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে এ চারাটি রোপন করতে হয়। এ আমের তিনটি বৈশিষ্ট্য যথা - গড় ওজন ৩-৪ কেজি , শ্রাবণের শেষের দিকে পাকে ও ফলন খুবই ভালো । আতিয়ার বলেন ,১৯৯২ সালে নিজস্ব উদ্যোগে ১০ শতক জমিতে শুরু করি নার্সারী। প্রথমেকোন পুঁজি ছিল না । ঘরের একটি ছাগল ৩০০ টাকায় বিক্রি করে শুরু করি এ নার্সারি । অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে ভালো অবস্থানে দাড় করিয়েছি নার্সারি । বর্তমানে এ নার্সারি ১০ শতক পেরিয়ে ২০০ একর জমিতে রুপান্তরিত করেছি । এখান থেকে নিজে গবেষণা করে উদ্ভাবন করেছি নতুন আমের জাত । যা নিজের মেয়ের নাম “ইয়াসমিন” নামে পরিচিত করিয়েছি । উদ্ভাবিত এ চারাটি ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করছি । প্রতি বছর এ চারা থেকে আমি ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা অর্জন করছি । তিনি আরো গর্ব করে বলেন , আমি এখন কমলা ফল নিয়ে গবেষণা করছি। নিজ নার্সারীতে অনেক কমলা ফল আমি লাগিয়েছি । মাগুরা হর্টি কালচার বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, আতিয়ার রহমানের উদ্ভাবিত এ চারা টি খুবই ভালো । আমরা তাকে পরামর্শ দিচ্ছি। তার গবেষণার কাজে সহযোগিতা করছি। ভবিষ্যতে সে আরো ভালো কিছু করতে পারবে ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Masud Ahmed ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:০৪ পিএম says : 0
নতুন জাতের আম ইয়াসমিন এর চারা পেতে চাই
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন