রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অযত্মে-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে অর্ধকোটি টাকার সম্পদ

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

অযত্মে-অবহেলায় পড়ে আছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্ধ-কোটি টাকার চারটি পন্টুন ও একটি পোল। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মাটির নিচে ঢেকে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফেরির মূল্যবান চারটি পন্টুন ও একটি পোল। ফলে বেহাত হয়ে যাচ্ছে সরকারের অর্ধ-কোটি টাকার সম্পদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর আচমত আলী খান (চীনমৈত্রী) সেতু নির্মিত হওয়ার তিন বছর পর ফেরিঘাটের ফেরিসহ কিছু মালামাল অন্য কোথাও সরিয়ে নিলেও অবহেলায় ফেলে রেখে যায় সরকারি আরো অর্ধ-কোটি টাকার মূল্যবান সম্পদ।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাদারীপুর, মহিষেরচর ও কাজিরটেক ফেরিঘাটে চারটি ফেরির পন্টুন ও একটি পোল অবহেলায় দীর্ঘদিন পড়ে আছে। সেতু নির্মাণের প্রায় তিন থেকে চার বছর পেরিয়ে গেলেও ফেরির বাকি মালামাল গুলো সরিয়ে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে কাজিরটেক ফেরিঘাটে তিনটি পন্টুন ও মহিষেরচর ঘাটে একটি পন্টুন ও একটি পোল অবহেলায় পড়ে আছে। ফলে দিন দিন মাটির সাথে মিশে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারের অর্ধ-কোটি টাকার সম্পদ। আবার স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ফেরি ও কিছু পন্টুন নেয়ার সময় নদীর পাড় ভাঙন লেগে নষ্ট হয়ে গেছে ফলে যে কোনো সময় জনগণ নদীতে গোসল করা বা পানি আনতে গেলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা মনে করেন। তাই স্থানীয়দের দাবি, তাদের নদীর পাড়ে যেন একটি সুন্দর ঘাট তৈরি করে দেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরির বাকি মালামালগুলো অন্য কোথাও সরানো হলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে মনে করেন। ওই এলাকার ব্যাবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে দুটি ফেরি ও পাঁচ থেকে ছয়টি পন্টুন ও পোল নিয়ে গেলেও মহিষেরচর ফেরিঘাট ও কাজিরটেক সাবেক গোবিন্দপুর ঘাটসহ মোট চারটি পন্টুন ও একটি পোল রেখে যায়। এর মধ্যে দুটি পন্টুন বালু ও মাটির ভেতরে অর্ধেক ঢেকে গেছে। সরকারে এই মূলবান সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যেন দেখার কেউ নেই।
মানবাধিকারকর্মী এইচ এম মাসুম হাওলাদার জানান, অনেকদিন ধরেই ফেরির মালামালগুলো পড়ে আছে। আচমতআলী খান সেতু হওয়ার ও প্রায় তিন বছর ধরে ফেরির চারটি পন্টুন ও একটি পোল অযতেœ ও অবহেলায় পড়ে আছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুন্নবী তরফতার বলেন, যেহেতু কাজিরটেক ফেরিঘাটে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর দিয়ে আচমত আলীখান ব্রিজ নির্মিত হয়েছে, সেহেতু অকেজো ফেরিগুলো ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। তবে ফেরি-পন্টুন ও পোল সড়ক বিভাগের নড়াইল জেলায় প্রয়োজনীয়তার কারণে তাদের হস্তান্তর করা জন্য ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে। তবে নড়াইল সড়ক কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করায় আপাতত অকেজো পড়ে আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন