পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারন করে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ইউনিয়ন পরিষদ,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,হাট বাজারসহ বিস্তৃর্ন জনপদ নদী ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়েছে । এরমধ্যে চরজানাজাত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ঘর বাড়ি নিয়ে খালি ভিটা রেখে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা চরজানাজাত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ ভাঙ্গন আক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, গত ৩/৪ দিনে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিবচরের চরাঞ্চলে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ইউনিয়ন পরিষদ,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,হাট বাজারসহ বিস্তৃর্ন জনপদ নদী ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়েছে । চরজানাজাত ইউনিয়নের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো মালেক তালুকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মজিদ সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীমুখে রয়েছে। ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খাসের হাট, বাজারসহ বিস্তৃর্ন জনপদের শত শত ঘরবাড়ি। ভাঙ্গন ও পানি বাড়ায় চরাঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কোনমতে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছেন শিক্ষকরা। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভাঙ্গন আক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে চালু রাখার জন্য স্কুলগুলো উঁচু স্থানে দ্রæত স্থান্তরের তাগিদ দেন। এসময় ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহবুবসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন, চলতি বছর পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় প্রশাসনিকভাবে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অতি দ্রæত উঁচু স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে যাতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন