মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গল্প সাজিয়েও রক্ষা পেল না ঘাতক স্বামী

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

 গোপালগঞ্জে বাঁচার জন্য গল্প সাজিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বামী ইব্রাহিম শেখ। গত বুধবার ১১ জুলাই মাধ্য রাতে তাকে বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দেখতে যেতে বাধা দেয় স্ত্রী লিপি বেগম (২৫)। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই স্ত্রীর পেটে ছুরি চালিয়ে দেয় স্বামী। স্ত্রীর শরীর থেকে রক্ত বের হতে দেখে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে হুঁশ ফিরে এলে ইব্রাহিম ঘরের সিঁধ কেটে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে প্রথম তাকে মারপিট করে। পরে স্ত্রী চিৎকার দিলে তার পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় বলে গল্প সাজায়।
এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লিপি বেগমের অবস্থার আরো অবনতি ঘট। সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে ফেরিতে লিপি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মারা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম পুলিশের কাছে এ কথা স্বীকার করেছে বলে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন।
ওসি আজিুজুর রহমান বলেন, ইব্রাহিমের বানানো গল্পে আমাদের সন্দেহ হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় ইব্রাহিমকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি লিপি বেগমে পেটে ছুরি চালিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। স্ত্রীর পেটে রাগের মাথায় ছুরি চালিয়ে তিনি কিংকর্তব্য বিমূড় হয়ে পড়েন। নিজে বাঁচার জন্য ফন্দি আটতে থাকেন। পরে তিনি এ গল্প সাজান বলে পুশিকে জানান।
গত ১১ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ইব্রাহিম শেখ পুলিশকে জানান, তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীর পেটে ছুরি চালিয়ে ভুল করেছেন । বাঁচার গল্প সাজিয়েও ফেঁসে গেছেন। কাশিয়ানী থানার ওসি অরো বলেন, তাকে গোপালগঞ্জের ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে।
জ্ঞানের দিকে জাগ্রত ব্যক্তিই শেষ হাসি হাসে ড. আহমদ হাসান চৌধুরী
মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা: বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা ড. আহমদ হাসান চৌধুরী বলেছেন, জ্ঞানের দিকে দায়িত্ববোধ জাগ্রত ব্যক্তিই শেষ হাসি হাসতে পারে। জীবনে অনেক মরিচিকা আসে সেটার দিকে মনোযোগী হলে মনজিলে যাওয়া যাবে না। যে কোনো বিষয়ের গভীরে যারা পৌঁছে যায় সমাজে তারাই সম্মানিত।
গতকাল শনিবার মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ তালামীয আয়োজিত কলেজ অডিটোরিয়ামে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কুশিক্ষা অশিক্ষার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। সমাজে যখন সংগঠনের নামে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তির অতল গহŸরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ফুলতলী ছাহেব তালামীয প্রতিষ্ঠা করেছিলেনন। তালামীযের শিক্ষা হচ্ছে বাবা মায়ের প্রতি দয়ার নজর রাখা, শিক্ষকের সাথে ভালো আচরণ করা, সহকর্মীদের সাথে ও অন্য ধর্মের প্রতি সদআচরণ করতে হবে। কলেজ তালামীযের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সিবারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় তালামীযের সভাপতি রেদ্বওয়ান আহমদ চৌধুরী।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন