শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

‘বঙ্গবন্ধু চর’ হতে পারে মিনি সুন্দরবন

| প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সুন্দরবনের কাছে বঙ্গোপসাগরের গভীরে জেগে ওঠা বিশাল ভূখÐের নাম ‘বঙ্গবন্ধু চর’। মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল ও বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন উপকূল দুবলার চর ও হিরণ পয়েন্ট থেকে প্রায় ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগরের গভীরে এই দ্বীপ বা চরটি হতে পারে বাংলাদেশের ‘মিনি সুন্দরবন’! প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা এই চরটির নামকরণ করেন কয়েকজন জেলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা এটি একটি শ্বাসমূলীয় বন। চরের চারপাশে সমুদ্রের স্বচ্ছ নীল জলরাশি, বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দ, চরে আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ আর বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ। প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটারের বঙ্গবন্ধু চরের বিশাল সৈকত জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ, লাল রঙের ছোট ছোট শিলা কাঁকড়া, স্বচ্ছ নীল জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় সামুদ্রিক মাছ। এ চরে প্রাকৃতিকভাবে জন্মাতে শুরু করেছে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ সুন্দরী, পশুর, গরান, কেওড়া, গেওয়া, ধুন্দল, বাইন, আমুর টাইগার ফার্নসহ বিভিন্ন লতাগুল্ম ও অর্কিড। এটি ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে ম্যানগ্রোভ বনে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণীর বসবাসের জন্য চরটি বেশ অনুকূল। চরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে ডলফিনের বিশাল ঝাঁকের বিচরণ দেখা গেছে। চরে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপও পাওয়া গেছে, অর্থাত্ চরটিতে বাঘের বসবাস ও বংশবৃদ্ধির জন্য জায়গাটি বেশ অনুকূল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু চর বাংলাদেশের বিরল বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। বঙ্গবন্ধু চরকে প্রকৃতি তার সৌন্দর্য দিয়ে গড়ে তুলুক। এক্ষেত্রে চটজলদি কোনো পদক্ষেপ নয়, চরের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করে এগোতে হবে। তাহলে সম্ভাবনাময় এ চর পর্যটনশিল্পের ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা দেবে তেমনি অর্থনৈতিকভাবে কাজে আসবে।
সাধন সরকার
ছাত্র, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন