মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছুটির দিনেও বৃষ্টি যানজটে ভোগান্তি

সায়ীদ আবদুল মালিক : | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

টানা বৃষ্টিতে গতকালও দুর্ভোগে পড়েছে রাজধানীবাসী। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কের অবস্থাও এখন বেহাল দশা। একদিকে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি অন্যদিকে খানাখন্দকেভরা সড়ক। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে এসব সড়কের কোথায় সমতল আর কোথায় খানাখন্দক তা বুঝার কোন উপায় নেই। এ অবস্থায় প্রতিদিনই এসব সড়কে ছোট বড় কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে রাজধানীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন অলিগলি ও রাজপথ। এতে নগরবাসী পড়েছে পানিবদ্ধতাসহ যানজটের ভোগান্তিতে। গতকাল শনিবার স্কুলে যাওয়া শিশুরা, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, বেসরকারি অফিস আদালতসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় নেমেই পড়েছে দুর্ভোগে। কোথায়ও যানজট আবার কোথায়ও যানবাহনের সঙ্কট। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমে কোথায়ও হাটু পানি আবার কোথায়ও কাঁদা পানি মিলে একাকার অবস্থা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, যেখানে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি আর অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগ যেন বেড়েই চলছে। তবে এ দুর্ভোগ লাঘবে সংশিষ্টদের কোনো তৎপরতাও চোখে পড়ে না। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার কাজ হচ্ছে না। আবার কোন কোন এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি সর্বত্রই পানিতে ডুবে যায়। রাজধানীর ডিএনডি বাঁধসহ বহু এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায়। এতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। হাঁটু পানিতেই চলাচল করতে হয় ওইসব এলাকার মানুষকে। পুরান ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সবচেয়ে অপ্রতুল। হালকা বৃষ্টি হলেই ড্রেন ভরে রাস্তায় জমে যায় পানি। দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা পানিতেই চলতে হয়ে পুরান ঢাকাবাসীকে। একই অবস্থা রাজধানীর অন্যান্য এলাকারও।
গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, আগারগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়িসহ বেশকিছু এলাকা ও মহাসড়কে বৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে পানিবদ্ধতা। এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি আর ভারি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শনিবার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালসহ বিভিন্ন বেসরকারি অফিস আদালতে চাকরিজিবীরা ও নানা প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েই বিপাকে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় পানিবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগের যেন শেষ ছিল না। পানিবদ্ধতার কারণে জুতা খুলে যাতায়াত করতে দেখা গেছে অনেককে। কোথাও কোথাও রাস্তায় জমে থাকা পানি বাসে উঠার সিড়ি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। এতে বাসে উঠা-নামা করার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের।
পানি জমে যাওয়ায় রাস্তায় খানা খন্দকে রিকশা ভ্যান পড়ে আহত হয়েছেন আনেকে। এলাকার অনেক অলিগলির ড্রেন উপচে পড়ে রাস্তাঘাট ঘর বাড়িতে পানি একাকার হয়ে গেছে। ফলে রাস্তায় জন-সাধারণের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়নে পানি জমার সমস্যাটা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবছর কার্পেটিং করায় অধিকাংশ সড়ক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উঁচু হচ্ছে। আর বসত এলাকা নিচু হচ্ছে। এছাড়া পানিবদ্ধতার অন্যতম কারণ হিসাবে রাজধানীর অপরিকল্পিত ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা দায়ী। আর পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে রাজধানীবাসীর দুর্দশা আরো বাড়বে বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
নগরীর অধিকাংশ সড়কের পাশে সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন ও ওয়াসার পানির সংযোগ লাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কাজ চলমান থাকায় খোঁড়া গর্তে পানি জমে সড়কের সঙ্গে সমান হয়ে গেছে। এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারীরা। মেট্রোরেলের কাজের কারণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে মিরপুরবাসীকে। এমনিতেই রাস্তার অর্ধেক খোঁড়া, তারমধ্যে বৃষ্টি তাদের বেশ দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
মালিবাগ থেকে মাসুম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বৃষ্টিতে রাস্তায় বাস কম থাকায় বাসে উঠা যাচ্ছে না। আবার রাস্তার বেহাল দশার কারণে রিকশাও যেতে চাইছে না। ভাড়া চাচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। নোংরা পানি ও কাঁদার কারণে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর।
বাড্ডা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাস্তায় কাদা ও নোংরা পানিসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন রাসেল নামের এক কর্মজাবী। তবে শুধু বাড্ডা-মিরপুর কিংবা মালিবাগ নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট নানা দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন অনেক পথচারী।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, যেখানে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি আর অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগ যেন বেড়েই চলছে। তবে এ দুর্ভোগ লাঘবে সংশিষ্টদের কোনো তৎপরতাও চোখে পড়ে না। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার কাজ হচ্ছে না। আবার কোন কোন এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি সর্বত্রই পানিতে ডুবে যায়। রাজধানীর ডিএনডি বাঁধসহ বহু এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায়। এতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। হাঁটু পানিতেই চলাচল করতে হয় ওইসব এলাকার মানুষকে। পুরান ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সবচেয়ে অপ্রতুল। হালকা বৃষ্টি হলেই ড্রেন ভরে রাস্তায় জমে যায় পানি। দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা পানিতেই চলতে হয়ে পুরান ঢাকাবাসীকে। একই অবস্থা রাজধানীর অন্যান্য এলাকারও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন