বিশ্বখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানি গ্লক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশে ওষুধের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়াকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ উল্লেখ করে অবিলম্বে কারখানা চালুর দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা। আর তা নাহলে রাস্তায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায় বলেও মন্তব্য করেন তারা।
গত ২৬ জুলাই পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গøাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির এক হাজার স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তিন শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজম বলেন, একটি লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে এ দেশ থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার জন্য দেশি-বিদেশি নানা স্বার্থান্বেষী মহল তৎপর। আমাদের ধারণা বিদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই চক্রান্তের সাথে সরাসরি জড়িত।
এটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানের নীট মুনাফা ৩৫১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সরকারি রাজস্ব খাতে জমা দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। শুধু ২০১৭ সালে এই প্রতিষ্ঠান ৬৬ কোটি ৯৩ লাখ চার হাজার টাকা নীট মুনাফা করেছে। প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ডিভিডেন্ট দিয়েছে ৫৫ টাকা। রাজস্ব ও ট্যাক্স দিয়েছে ১৯৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক সফর আলী বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান লাভজনক বলেই গত বছর তারা শ্রমিক-কর্মচারিদের পাঁচ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছিল। দ্রæত সময়ের মধ্যে কারখানা ব চালু করা না হলে রাজপথে আন্দোলনের হুমকিও দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তপন দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতারা। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ কর্মচারী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বাইরে মানববন্ধন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন