বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো রাজধানীর মিরপুর সড়কজুড়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১০টা থেকে মিরপুর সড়কের সায়েন্স ল্যাবরেটরি, লালমাটিয়া, আসাদগেট ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলছে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতেও।
বুধবারের ধারাবাহিকতায় আজও শিক্ষার্থীরা গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স পরীক্ষা করছেন। যেসব গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রয়েছে, সেগুলো ছেড়ে দিচ্ছেন। বাকিগুলো আটকে দেয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে আজ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু আজও স্কুল পোশাক ও ব্যাজ পরা শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ধানমণ্ডির ২৭ নম্বর থেকে সংসদ ভবনের দিকে কিছু গাড়ি যেতে দেয়া হচ্ছে। তবে সেগুলোরও ফিটনেস ও লাইসেন্স পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ কারণে সড়কে খুবই কম গাড়ির দেখা মিলছে। এতে যাত্রীদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। নিরুপায় হয়েও অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।
গণভবন ক্রসিংয়ে আছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওসমান গনি। তিনি বলেন, আমি যেখানে আছি, সেখানে সমস্যা নেই। তবে আড়ংয়ের সামনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আছেন। তারা বিক্ষোভ করছেন। কোথাও কোথাও গাড়ি পরীক্ষা করছেন। গাড়িতে সমস্যা দেখা দিলে আমাদের ডেকে নিচ্ছেন। আমরা মামলা করে দিচ্ছি। তবে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে না।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এখলাস বলেন, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করায় মানিক মিয়া সড়ক বন্ধ রয়েছে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। এতে মিরপুর রোডের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আজ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন