শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দৌলতদিয়া ঘাটে ৬ কি.মি যানজট

গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ৮:০৯ পিএম

ঈদ শেষে বাড়তি ছুটিও শেষ হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার অসংখ্য মানুষের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের কর্মস্থলে ফেরা অব্যাহত রয়েছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট জুড়ে যেন মানুষের ঢল।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ যানবাহনের সারি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬ কি.মি পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। নদী পারের অপেক্ষায় আটক পড়ে ২/৩ সারিতে ছোট-বড় প্রায় সহ¯্রাধিক যানবাহন। এদিকে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে ভিআইপি ভাবে গ্রীন লাইন, সোহাগ, এসবি গোল্ডেন লাইন, কে লাইন সহ বিভিন্ন কোম্পানী এসি পরিবহনগুলো পার হচ্ছে। এতে করে ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকলেও ভিআইপি এসি বাসগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে পার করায় থেমে থেমে সৃষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যানজট।
দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত অন্তত ৬ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও ব্যাক্তিগত গাড়িসহ সহ¯্রাধিক যানবাহন ফেরির অপেক্ষায় আটকে আছে। এ ছাড়া ট্রাক টার্মিনাল ও ফোরলেন মহাসড়কের পশ্চিম লেনের এক সারিতে ২/৩ দিন ধরে আটকে আছে অন্তত ২শ অপচনশীল পণ্যবাহী যানবাহন। এদিকে রাজবাড়ীর আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার অদূরে প্রায় দেড় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটক করে রেখেছে। ঘাট থেকে নির্দেশ পেলে পর্যায় ক্রমে এখান থেকে ট্রাকগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘাট এলাকা থেকে বাবুল, আলম সহ একাধিক ট্রাক ড্রাইভার জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ৩/৪দিন কেটে গেলেও ফেরীর নাগাল পাচ্ছি না। নন-এসি যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো আমাদের মতো ঘন্টা পর ঘন্টা নদী পারের অপেক্ষায় থাকলেও ভিআইপি যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে পার হচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ যানজটের কারণে লঞ্চ পারাপার পরিবহনের অনেক যাত্রীকে ৪/৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে লঞ্চঘাটের দিকে যেতে দেখা যায়। লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীর সৃষ্টি হয়। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ বেগ পোহাতে হয়। ঘাট এলাকা ও মহাসড়ক জুড়ে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা।
বিআইডবিøউটিসি’র ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের দিন পর্যন্ত ২০টি ফেরি নৌরুটে যানবাহন পারাপার করলেও মঙ্গলবার ১৮টি ফেরি চলাচল করে। মঙ্গলবার সকালে এ রুটের রো-রো ফেরি শাহ জালালের প্রপেলশান সিস্টেমে বড় ধরণের ত্রæটি দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ ফেরিটিকে বন্ধ রেখে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানোর হয়।
বিআইডবিøটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, আরিচার সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক অপু জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সোমবার ৯টি রোরো (বড়), ৮টি ইউটিলিটি ও ১টি কে-টাইপ ফেরি সচল ছিল। গত ২৪ ঘন্টায় ১০৯০ বাস, ৩৭১ ট্রাক, ২৮৩৯ ছোট বড় প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস যানবাহন নদী পার হয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন ও সৈয়দ নাজমুল জানান, রাতে যানবাহনের চাপ একটু বৃদ্ধি পায়। যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ কমাতে তারা ছোট গাড়িগুলোকে বাইপাস সড়ক দিয়ে এবং অন্যান্য গাড়িগুলোকে ফোরলেন সড়ক দিয়ে দুই সাড়িতে ঘাটে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। এ অবস্থায় অপচনশীল পন্যবাহি ট্রাক পারাপার একেবারেই সীমিত করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন