পাবনা জেলার সর্বত্র কোরবানীর পশুর চামড়া অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি স্থানীয় চামড়া আড়ৎদার ও ট্যানারী মালিকদের কারসাজি। এত কম দাম গত বছর পবিত্র কোরবানী ঈদেও হয়নি। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লবন ছাড়া চামড়া নামমাত্র ম‚ল্য স্থানীয় আড়ৎদারদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন । ফলে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। অপরদিকে, এই চামড়ারা বিক্রির টাকা যাদের হক তারা প্রাপ্য অর্থ কম পাচ্ছেন।
সরেজমিন এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে , জেলা পৌর সদর, সুজানগর পৌরসভা, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়াসহ জেলার ৯টি উপজেলায় মহলা –পাড়া ও গ্রাম ভিত্তিক কোরবানীর আগে গড়ে ওঠা চামড়া সংগ্রহকারী মৌসুমী যুবক ব্যবসায়ীরা পরিবার, ব্যক্তি বিশেষ ও এনজিও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ কর্জ করে চামড়া ক্রয় করেন। বিপুল সংখ্যক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী রয়েছেন। এ সব ব্যবসায়ীরা জেলা সদর ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে কোরবানীদাতাদের কাছ থেকে প্রতিটি গরু ও মহিষের চামড়া ৬‘শ থেকে ৭‘শ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়ার চামড়া ৪০থেকে ৫০টাকা দরে ক্রয় করেন। মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আজিবর রহমান জানান, চামড়া প্রসেসিং করে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য সরকার নির্ধারিত ম‚ল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনেছিলাম। কিন্তু পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের চামড়ার তেমন দাম বলছেনা। এমনকি স্থানীয় আড়ৎদারগণ চামড়ার ক্রয় ম‚ল্যের চেয়ে কম দামে চামড়া কিনেছেন। লবন দিয়ে প্রসেস করা গরু ও মহিষের চামড়া ৫‘শ থেকে ৬‘শ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়ার চামড়া ৩০থেকে ৪০টাকা দরে বিক্রি করছেন। আর প্রসেস ছাড়া চামড়া আরও কমদামে বিক্রি করতে হয়েছে। গরু-মহিষের প্রতিটি চামড়ায় ১শত থেকে ২শত টাকা গড়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। কোরবানীদাতাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, নামমাত্র দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এই টাকা যাদের হক্ক তারা কম টাকা পেলেন! তবে ট্যানারী মালিকরা লোকসান করেন না। সাগর আলী, পান্না জানালেন, ইতোপ‚র্বে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে ট্যানারী সরিয়ে নিতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ না মানায় জরিমানা দিয়ে মাসের পর মাস থেকেছেন হাজারীবাগে। তাদের অর্থের কোন অভাব নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন