একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে লক্ষীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কৌশলে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জেলার চারটি আসনে বরাবরই বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। গত নির্বাচনে লক্ষীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে আওয়ামী জোট মনোনীত প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাবেক মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল নির্বাচিত হন। বিএনপি ও জামায়াতের ঘাঁটি হলেও জেলার এ আসনে বর্তমানে আ.লীগের শক্তি সামর্থ্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঢাকাস্থ রামগঞ্জ সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন ব্যাপক তৎপরতার কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের ঘাঁটি রামগঞ্জ-১ আসনটি আ.লীগের দখলে যাবে বলে স্থানীয় আ.লীগের দাবি। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আ.লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ারজ জন্য যারা তৎপর তারা হলেন- ঢাকার আনোয়ার খাঁন মডার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আনোয়ার খাঁন মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও রামগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ মো. শাহজাহান, জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও শিল্পপতি সফিকুল ইসলাম, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ মোজাম্মেল হক মিলন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. সফিক মাহমুদ পিন্টু, আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মমিন পাটওয়ারী। আনোয়ার হোসেন খাঁন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান-অনুদানসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপির এ ঘাঁটিতে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় আছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনির আহমেদ, নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি মনোনীত বিজয়ী এমপি নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ইমাম হোসেন। রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আদুর রহিম ভিপি, সে এলাকায় ভিপি রহিম নামে পরিচিত। তবে তিনি দলের জন্য অনেক হারিয়েছেন, যার কোনো শেষ নেই। এদের মধ্যে সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্দিনে তেমন ভ‚মিকা রাখতে না পারা এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারায় তার প্রতি আস্থার সঙ্কট রয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার হারুনুর রশিদ সার্বিকভাবে বেশ জনপ্রিয়, দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোসহ দলের শৃঙ্খলার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনির আহমেদ। এ ছাড়া এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশায় কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন ২০ দলীয় জোটের শরীক দল এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক এমপি এম এ গোফরান।
আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, রামগঞ্জ-১ আসনটি আ.লীগের দখলে আসার জন্য দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করছি। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে আ.লীগ বিজয়ী হতে পারেনি। নেত্রী আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দিলে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে নৌকাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর এ আসন জননেত্রীকে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
সৈয়দ মোজাম্মেল হক মিলন বলেন, রামগঞ্জের মতো আসনে প্রতিদ্বীদ্বতা করতে এমন ব্যক্তি হতে হবে যিনি নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলার মধ্য দিয়ে রাজনীতি করে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছেন। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। দলীয় প্রধানের নির্দেশ বাস্তবায়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন এবং দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কখনো বিদ্রোহ করেননি। দলীয় মনোনয়ন পেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি এই আসনটি উপহার দিতে পারব ইনশাল্লাহ। জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নব-নির্বাচিত আলহাজ মো. শাহজাহান বলেন, আ.লীগের প্রার্থী হিসেবে আমি গত দুটি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছি এবং দলের সভাপতি থাকাকালে রামগঞ্জবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের পক্ষে থাকার জন্য কাজ করেছি। নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাল্লাহ এ আসনটি আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব।
সাবেক কমিশনার হারুনুর রশিদ বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করেছি এবং নিজ এলাকা রামগঞ্জের জনগণের সাথে সবসময় আছি এবং থাকব। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনির আহমেদ বলেন, আমার নিজ এলাকা রামগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে আমার সু-সম্পর্ক আছে। রাজনীতির গুণগতমান পরিবর্তন দরকার, এ পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আদুর রহিম বলেন. আমার নিজের জন্য কোনো কিছু রইল না, আমি দলের জন্য সর্বস্ব হারিয়েছি। দল আমাকে দুঃসময়ে এ উপজেলার সধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে আমি মনোনয়ন পেলে বিএনপি ও জামায়াতের ঘাঁটি রামগঞ্জ-১ আসনটি আল্লাহর রহমতে ধরে রাখতে পারব। এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমার নিজ এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। জোটে ও এলাকায় আমার একটি সুন্দর অবস্থান আছে। জোটগতভাবে নির্বাচন হলে আমার মনোনয়ন নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন