বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৬ এএম | আপডেট : ৫:৫৩ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মহররম ইসলামী আরবী সনের প্রথম মাস। এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বরকতময় ও ফযিলতের মাস। এই মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে মহান রাব্বুল আলামীন আল কুরআনের ৯ নং সূরা তাওবাহ-এর ৩৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন : নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টির দিন হতে আল্লাহপাকের বিধানে মাসের সংখ্যা বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানীত ও অলঙ্ঘনীয়। (যথা : জিলকদ, জিলহজ্জ মহররম ও রজব)। এই চারটি মাসের মধ্যে মহররম হলো অন্যতম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এই মাস যেমন বছরের প্রারম্ভ তেমনি খ্রিষ্টজগতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই মাসে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মাস বেদনা ও শোকের মাস, শোকরিয়া জ্ঞাপন ও নাজাত লাভের মাস, রহমত ও বরকতের মাস। এই মাসে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বান্দাহদের ওপর অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। মহররম মাসকে সহীহ হাদীসে আল্লাহর মাস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং এ মাসে নফল রোজা পালন করাকে সর্বোত্তম নফল রোজা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা:) নিজে মহররম মাসে নফল রোজা রাখতেন, আশুরার দিন রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরাম ও উম্মতগণকে এই মাসে রোজা রাখার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : সর্বোত্তম রোজা হলো রমজান মাসের রোজা। তারপর আল্লাহর মাস মহররম মাসের রোজা। (মিশকাত শরীফ : ১/১৭৮ পৃ:)। হযরত আবু কাতাদাহ (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার ওসিলায় আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত অতীতের এক বছরের সগীরা গোনাহ মাফ করে দেবেন। (মিশকাত শরীফ : ১/১৭৯), হাদীস শরীফে আরও বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মহররম মাসের যে কোনো তারিখে রোজা রাখবে, সে রোজার বিনিময়ে আল্লাহ পাক তাকে এক মাস রোজা রাখার সওয়াব দান করবেন। (তারিখই কারবালা : ৯০ পৃ:)।
সুতরাং একথা খুবই প্রণিধানযোগ্য যে, নফল এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহপাকের নৈটক্য লাভ করার সহজতর হয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর অনুকরণ ও অনুসরণ পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) বর্ণিত হাদীস খুবই প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন : আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহপাক ও তাঁর রাসূলের অনুকরণ করা হতে হাত সরিয়ে নেবে, কিয়ামতের দিন নাজাতের জন্য তার সপক্ষে কোনো দলিল থাকবে না। আর যে ব্যক্তি উপযুক্ত মোর্শেদের শিষ্য হওয়া ছাড়া মৃত্যুবরণ করবে, তার মৃত্যু হবে জাহেলী যুগের বেঈমান লোকদের মতো। (সহীহ মুসলিম শরীফ : ২/১২৮ পৃ:)।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন