প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে একটি প্রশিক্ষিত ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন জনবল ছাড়া কোন দক্ষ প্রশাসন গঠন করা সম্ভবপর নয়। দক্ষতা অর্জনের জন্য যুগোপযোগী ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সনদ প্রদানের এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইটি সংক্রান্ত বিষয়ে তারা যে জ্ঞান অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় সম্পর্কে বিদ্যমান আইন সম্পর্কেও তারা অনেক কিছু জেনেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ প্রশিক্ষণ কোর্স তাদের আইটি সম্পর্কে ধারণাকে আরো বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করবে। এতে অফিসের কাজের গুণগতমান বেড়ে যাবে। প্রশিক্ষণার্থীগণ তাদের এ অর্জিত জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলেই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বহুলাংশে সার্থক হবে। কাজের গুণগতমান পূর্বের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা একটি সুবিন্যস্ত মামলা ব্যবস্থাপনা এবং দাপ্তরিক কর্মপরিকল্পনার সক্ষমতা অর্জনসহ সামগ্রিক দক্ষতা লাভ করে। সভাপতির বক্তব্যে বিচারপতি ইমান আলী বলেন, কর্মদক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষনের কোন বিকল্প নেই। এ প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। কোন শিক্ষাই বিফলে যায় না, শিক্ষা কেউ চুরি করতে পারে না। তিনি বলেন, একটা সময় ই-জুডিশিয়ারি বিষয় আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। এখন এটাই বাস্তবতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন