বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শিক্ষককে গণপিটুনি এক বছরের দন্ড

টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে নানা রকম আপত্তিকর মন্তব্য করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গতকাল সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুল বিদ্যালয়ের সহকারি সমাজকর্ম বিভাগে কর্মরত। সে কালিহাতী উপজেলার পারখী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকদের অশালিন মন্তব্য ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবলু। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোবাবার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। ওই দিনই সকল ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেন। স্কুল ছুটি শেষে ছাত্রীরা তার অভিভাবকদের জানালে গতকাল সোমবার সকালে অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজি শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে সাঈদুর কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকরা সাঈদুরকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই সাঈদুর রহমান বাবুল তাদের বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব ও অশালীন মন্তব্য করে আসছিল। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানানোর পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি। গতকাল সোমবার শিক্ষার্থীরা সকালে ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা সাঈদুর রহমান বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাঈদুর রহমান বাবুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান বলেন, টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলকে ইভটিজিং এর দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কোন অভিভাবক যদি তার বিরুদ্ধে মামলা করেন তাহলে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন