পরিবেশ আইন মেনেই ইট ভাটার লাইসেন্স নবায়ন উৎস কর, লাইসেন্স ফিসহ ৬০ হাজার টাকা রাজস্ব দিতে হয় সরকারকে। সাতকানিয়া অর্ধ্ব শতাধিক অবৈধ ইটভাটা থেকে এই তিন খাতে কোন ধরণের রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার। এতে সরকার প্রতিবছর তিন কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে বৈধ, অবৈধ ইটভাটা থেকে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৪৩৫ টাকা রাজস্ব আদায় করছে উপজেলা প্রশাসন। অবৈধ ইটভাটা থেকে সরকার কোন ধরণের কর পাচ্ছে না। কর না পেলেও সকল ইটভাটা থেকে ভূমি উন্নয়ণ কর (খাজনা) আদায় করা হয়। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে বছরের পর বছর অবৈধভাবে ইট ভাটার কার্যক্রম চলে আসছে। এজন্য উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে দুষছেন পরিবেশবাদীরা।
এছাড়া উৎপাদিত ইট প্রতি আয়কর আদায়েও চলছে শুভ অংকের ফাঁকি। এক চতুর্থাংশ ইট উৎপাদন দেখিয়ে আয়কর প্রদান করা হয় বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। প্রতি ইট ভাটায় এক মৌসুমে ৪০-৫০ লাখ ইট পুড়ানো হয়। কিন্তু আয়কর বিভাগকে দেখানো হয় উৎপাদিত ইটের এক চতুর্থাংশ। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে প্যাকেজ ভ্যাট চলে আসছে। ভাটা প্রতি চার-পাঁচ লাখ টাকা এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। সূত্র জানায় ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইনে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনের ৪নং ধারায় লাইসেন্স ব্যতীত ইট তৈরী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন ইট ভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেখে কোন ব্যক্তি ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে ইট তৈরি করে আসছে অবৈধ ইটভাটা মালিকেরা। পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা স্বত্বে এই প্রতিবেদককে জানান লাইসেন্স বিহীন ইটভাটাগুলো থেকে নবায়ন ফি হালনাগাদ করার কোন সুযোগ নেই। এতে সরকার প্রতি বছর বড় ধরণের রাজস্ব হারাচ্ছে। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় জানানো হয়েছে অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেধ মামলা রয়েছে। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন