পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে ভূমি সমস্যার সমাধান চেয়ে জমা পড়া ২২ হাজারের মতো আপত্তি আবেদন যাচাই-বাছাই করে সেগুলোর বিষয়ে শুনানীর পর্যায়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক। গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটিস্থ সার্কিট হাউসে আয়োজিত বর্তমান কমিশনের তৃতীয় বৈঠক শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান আরো জানান, ইতিমধ্যেই ভূমি কমিশনের বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ থেকেও একটি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভবপর সময়ে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়ে যাবে, তারপরই পার্বত্যাঞ্চলের বিরাজমান ভূমি সমস্যার সমাধানে কমিশনের কাছে জমা পড়া আবেদনগুলোর শুনানীর কাজ শুরু করে দিবে কমিশন। ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ইতিমধ্যেই রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় ভূমি কমিশনের কার্যালয় স্থাপন প্রায় সম্পন্ন। এখন জেলা পরিষদগুলো থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলেই কাজ শুরু করে দিবে কমিশন।
চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, ভূমি কমিশন সর্বাজ্ঞে কাজ শুরু করতে ভারত প্রত্তাগত শরণার্থীদের দিয়ে। তিনি বলেন, আমরা খতিয়ে দেখছি যে, চাকমা ও মং সার্কেল থেকে এখনো পর্যন্ত অনেক স্থানে অনেকেই পুর্নবাসিত হয়নি। এখনো পর্যন্ত কিছু কিছু লোক নিজেদের ভিটেতে পুর্নবাসিত হলেও তাদের অন্য জমিগুলো ফিরে পায়নি। পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য ভূমি কমিশনের কাজ শুরু কেন হচ্ছেনা এই প্রশ্ন স্থানীয়দের করাই উচিত। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু পরামর্শ বা প্রস্তাবনা দেওয়ার দরকার তার সবটাই দেওয়া হয়েছে। এখন যত দ্রুতই বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে ততদ্রুতই ভূমি কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে। বিধিমালা প্রণিত না হলে কমিশনের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন সন্তু লারমা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন