রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুঁড়িয়ে চলছে কুবির চিকিৎসাসেবা

মেহেদী হাসান, কুবি থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যাল (কুবি) এর একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্রটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। ওষুধ, চিকিৎসক সঙ্কট, আবাসিক চিকিৎসকের অভাব, অপ্রতুল স্থান, এ্যাম্বুলেন্স সঙ্কটসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার সদ্যসের চিকিৎসা সেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠানটিতে মাত্র ৫ জন চিকিৎসক থাকলেও এরমধ্যে ২জন শিক্ষা ছুটিতে। তাছাড়া ১জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ১জন সিনিয়র নার্স ও একজন অফিস সহকারি নিয়ে রীতিমত খুঁড়িয়ে চলছে মেডিকেল সেন্টারটি। পর্যাপ্ত সেবা না পাওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রীহ হন না শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে চলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সদস্যদের চিকিৎসা সেবার প্রতিষ্ঠানটি। মাঝারি আকারের এই কক্ষটিকে কাঁচের দেয়াল দিয়ে তার মধ্যে সাতটি ছোট কক্ষে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় এই স্থান খুবই অপ্রতুল। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে চিকিৎসা সেবা প্রদান ব্যাহত হয়।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে মেডিকেল সেন্টারের জন্য বরাদ্দ মাত্র ১ লাখ টাকা। এই টাকার মধ্যেই ওষুধ সরবারহসহ মেডিকেল সেন্টারটি পরিচালনার আনুসাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। বর্তমানে ১৯ প্রকার ওষুধ সরবারহ করা হয় যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। প্রততত্ত্ব বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিহা আজাদ বলেন, এখানে নাপা, স্যালাইনসহ আরো দুই একটি সাধারণ ওষুধ ছাড়া আর কোন ওষুধ আছে বলে মনে হয় না।

মাইক্রোবাস থেকে রূপান্তর করা একটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে যা প্রকৃত এম্বুলেন্সের সুবিধা দিচ্ছে না। এতে অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে এ্যম্বুলেন্স পেতে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহ করিম সাজিদ বলেন, মেডিকেল সেন্টারটিতে কোন আবাসিক চিকিৎসক নেই এখানে অফিস সময় ছাড়া চিকিৎসক থাকেনা।
মেডিকেল সেন্টারটির প্রধান ডা: মাহমুদুল হাসান খান বলেন, আমাদের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবে বর্তমান ভিসি স্যারের পরিকল্পনা রয়েছে আবাসিক চিকিৎসকের ব্যবস্থা করে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার চালুর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. আবু তাহের বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে মেডিকেল সেন্টারটি একটি আলদা স্বতন্ত্র ভবনে স্থানান্তর করে ৫ থেকে ১০ শয্যার একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করার। এছাড়া আগামী বছরের মধ্যে নতুন এম্বুলেন্স আনা এবং চালক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন