সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আগাম শীতে ব্যস্ততা লেপ তোশক কারিগরদের

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আন্তর্জাতিক সীমানা কখনোই মানে না প্রকৃতি, বাতাসে ভেসে বেড়ানো পাখি ও মাটিতে বিচরণ করা পশু। প্রকৃতি এবার অনেক আগেই সীমানা টপকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এটা চিরন্তন সত্য উত্তর দিক থেকেই দেশে প্রবেশ করে শীত। কিন্তু হেমন্তের মাত্র দু’ সপ্তাহ যেতে না যেতেই শীত চেপে বসতে শুরু করেছে। আর তারই চিত্র দেখা গেছে উত্তরের জেলা শহর ছাড়িয়ে উপজেলা পর্যায়ে।
হিমালয়ের পাদদেশে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা। গত এক সপ্তাহ ধরে দুর্বা ঘাষের ডগায় শিশির বিন্দু বলতে শুরু করেছে শীত এসে গেছে। সূর্য পশ্চিমাকাশে হারানোর আগেই চারপাশ ঢেকে যায় ঘন কুয়াশার চাদরে। আস্তে আস্তে দৃষ্টিসীমার দূরত্ব কমতে শুরু করে। আর গোটা রাত কাটে মাঝারি শীতে। প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং আবাসিক হোটেলে শীত নিবারণের জন্য শুরু হয়েছে পাতলা কাঁথা ও চাদরের ব্যবহার। আর কটা দিন পরই বাড়বে শীতের তীব্রতা। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোষকের কারিগরদের। পীরগঞ্জ পৌর শহরের লেপ তোষকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। শীত চেপে বসার আগেই লোকজনের তাড়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরা।
সকাল থেকে মাঝরাত অবধি দোকানে বসে কেউ তুলা ছাটাই করছেন, কেউ তুলা দেখাচ্ছেন, কেউ কাপড় দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন মানের রং ও তুলা দেখিয়ে ক্রেতাদের মন জোগানোর চেষ্টা করছেন তারা। ক্রেতারা বিভিন্ন মানের তুলা ও কাপড় দেখে লেপ তোষকের অর্ডার দিচ্ছেন। পৌর শহরের লেপ তোষকের কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্যই শীত আসার কথা জানান দিচ্ছে।
লেপ তোষক কারিগর ফারুক হোসেন জানান, উত্তরাঞ্চলে আগেই শীতের দেখা মিলে। তবে এবার অনেক আগেই হাজির হয়ে গেছে। আর বেড়েছে ক্রেতাদেরও আনাগোনা। বর্তমানে কোন দোকানের মালিক ও কারিগরদের দম ফেলানোর সময় নেই। সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত ৪০-৫০টি লেপ তোষক তৈরি করা হয়।
দোকানের লোকজন জানান, শীতকালের পুরোটা সময় ধরে চলবে লেপ তোষক তৈরির কাজ। কারিগর বেলাল হোসেন জানান, এবার শুরুতেই লেপ তোষকের সরঞ্জামের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে সময় গড়ালে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে প্রতিটি লেপ তোষক তৈরিতে খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা। আর জাজিম তৈরির খরচ হচ্ছে সর্বনিম্ন এক হাজার ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার ২০০ টাকা। তবে ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার শুরুতেই লেপ তোষকের দাম কিছুটা বেশি।
উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের বলিদ্বারা গ্রাম থেকে শহরে আসা ক্রেতা ফজলে হক জানান, এবার শীত একটু আগেই শুরু হয়েছে। শীত নিবারনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লেপ। তাই লেপ বানাতে এসেছি। একটি লেপ ৮৫০ টাকা দিয়ে তৈরির অর্ডার দিলাম। নারায়নপুর গ্রামের বাবুল জানান, প্রতি বছরই শীতের সময় সরকার কম্বল দিলে তার দেখা তারা পান না। এসব কম্বল যায় সরকারদলীয় ও ধনী লোকদের ঘরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন