কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)ক্যাম্পাসে সারাবছর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দেখা না মিললেও ভর্তি পরীক্ষা আসলেই বেশ তৎপর হয়ে উঠতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট শাখার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের। দা-কাচি, স্বয়ংক্রিয় ঘাস কাটার নানান যন্ত্রপাতি নিয়ে চলে তাদের ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন করা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।
জানা যায়, আগামী শুক্র ও শনিবার শুরু হবে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের ঝোপঝাড় ও ভবনগুলোর আশপাশের ঘাস যন্ত্র দিয়ে কেটে পরিস্কার করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। কিন্তু সারাবছর এদিকে কারো তেমন নজর থাকেনা। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে যে মুল রাস্তা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে তাতে পলিথিন, খাবারের প্যাকেট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিফলেট, পোস্টারসহ বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট পরে থাকতে দেখা যায়। মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম ই ন‚র বলেন, সারাবছর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ভবনগুলোর বাইরে কাজ করতে দেখা যায়না বললেই চলে। ক্যাম্পাসের ছোট ছোট সব টিলা ছোপঝাড়ে ঢাকা থাকে। ম‚ল প্রবেশ পথেই পরে থাকে নানান আবর্জনা। ফলে শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেবার স্থান কমছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে বাড়ছে সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব। প্রত্মত্তত্ব বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিনা আক্তার সুমী জানান, ঝোপঝাড় না কাটায় ক্যাম্পসের হল এবং ডরমেটরিগুলোতে প্রায়শই নানান সাপ ঢুকে পরতে দেখা যায়। এছাড়াও হলগুলোতে মশার উপদ্রব তো আছেই।
তবে প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে নেয়া কর্মপরিকল্পনায় থাকা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে এসব কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়ে থাকে বলে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার (এস্টেট শাখা) মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, সবসময় ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট থাকেনা। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আসলে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য আলাদা বাজেট দেয়া হয়। সেই বাজেটের অংশ হিসেবে এস্টেট কর্মীরা এসব কাজ করে থাকে। আমাদের জনবল নগন্য। ভিসির বাংলো এবং প্রশাসনিক ভবন মিলিয়ে মাত্র তিনজন কর্মচারী। যাদের দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের পরিচ্ছন্নতা কাজই প্রতিদিন পুরোপুরি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়না। আমাদের জনবল বাড়ানো হলে নিয়মিত কার্যক্রম পুরোদমে চালানো সম্ভব হবে।
ভর্তি পরীক্ষার আগে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেমন বিএনসিসি, রোভার স্কাউটকে স্ব-উদ্যোগে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায়। তাছাড়া কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসের এসব ঝোপঝাড় ও ক্যাম্পাসের আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে ও ক্যাম্পাসের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন করে। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন